তিন আততায়ীর এই ছবি প্রকাশ করেছিল পুলিশ। ফাইল চিত্র।
শুজাত হত্যার ১৩ দিন পর খুনিদের চিহ্নিত করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। বাইক আরোহী যে তিন আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ, তাদের একজন পাকিস্তানি। বাকি দুজন দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক। পাকিস্তানি জঙ্গির নাম নাভিদ জাট। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়েছিল এই লস্কর জঙ্গি।
যে তিন জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল, তাদের একজনের মাথায় ছিল হেলমেট। বাকি দুজনেই মুখোশ পরে ছিল। তাই শুরুতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জঙ্গিদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করেই জঙ্গিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চতুর্থ আরও এক সন্দেহভাজনের কথা শুরুতে জানিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরায় বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া শুজাতের মোবাইল কুড়োতে দেখা গিয়েছিল তাকে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ অবশ্য তাকে স্থানীয় মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা খুনের হমকি দেয় তারা কেউ লেখা পড়ে না!
খুন হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন ধরেই বুখারির বিরুদ্ধে একনাগাড়ে বিষোদগার চালাচ্ছিল যে কাশ্মীরী ব্লগার, তাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীনগরে বড় হলেও এই জঙ্গির বর্তমান ঠিকানা পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ‘শান্তিকামী মানুষ’ মানে কী
গত ১৪ জুন শ্রীনগরে নিজের অফিসের সামনে আততায়ীদের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন ‘রাইজিং কাশ্মীর’পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তাঁর দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও। উপত্যকায় শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্যই তাঁকে প্রাণ দিতে হল বলে অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের।