আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ছবি ফেসবুক।
হাত কেটে যাওয়ায় দিল্লির এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সেই চিকিৎসক মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, গত মে মাসে হাতে গভীর ক্ষত নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন আফতাব। তিনি আফতাবের কেটে যাওয়া হাতে সেলাইও করেন। ঘটনাচক্রে, পুলিশের দাবি, ওই মে মাসেই শ্রদ্ধা খুন হন। একই সঙ্গে তদন্তকারীদের দাবি, আফতাবই খুন করেছেন তাঁর বান্ধবী শ্রদ্ধাকে।
অনিল সিংহ নামে ওই চিকিৎসকের দাবি, মে মাসে তাঁর কাছে এসেছিলেন আফতাব। ওই যুবকের হাতে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত ছিল। তিনি হাতে সেলাই করেন। চিকিৎসকের দাবি, আফতাব তাঁকে বলেছিলেন, ফল কাটতে গিয়ে হাত কেটে গিয়েছে। তবে অনিল সে দিনের কথা মনে করে বলছেন, “চেম্বারে এসে আগাগোড়াই অস্থির ছিলেন আফতাব। এমনকি, হাবে ভাবে কিছুটা আক্রমণাত্মকও লেগেছিল তাঁকে।”
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মে বান্ধবী তথা আড়াই বছরের ‘লিভ ইন পার্টনার’ শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব। তার পর ধারালো অস্ত্রে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা একটি ফ্রিজারের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখেন। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, আফতাব যখন চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাঁর ডান হাতের কব্জির কাছে গভীর ক্ষত ছিল।
অনিল এক জন পেশাদার সার্জন। তিনি জানিয়েছেন, আফতাব যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন বেশ চড়া মেজাজের মানুষ বলে মনে হয়েছিল তাঁর। তবে আফতাবের সঙ্গে কথা বেশি দূর এগোয়নি বলেই দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, প্রেসক্রিপশন হাতে পেয়েই চেম্বার ছাড়েন আফতাব।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, বান্ধবীকে খুন করার এক সপ্তাহ আগে থেকেই ছক সাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন।