সিনেমা না দেখে মন্তব্য ঠিক নয়, মত অনুরাগের। ফাইল চিত্র।
শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার আগেই সেটিকে বয়কট করার দাবি তুলেছিল একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সিনেমার একটি গানের দৃশ্যে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপির কিছু নেতামন্ত্রীও সিনেমাটিকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই আবহে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুক যা বললেন, তা ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুরাগ জানান, কোনও সিনেমা না দেখে সেটি সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়। সিনেমার ভালমন্দের দিকটি খতিয়ে দেখার জন্য সেন্সর বোর্ড আছে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন এই বিজেপি সাংসদ। অনুরাগের কথায়, “আমাদের সিনেমাগুলি এখন গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও যাঁরা সিনেমাগুলি না দেখেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তাঁরা আসলে গোটা পরিবেশকে নষ্ট করেন।” মন্ত্রী আলাদা করে ‘পাঠান’ কিংবা কোনও সিনেমার নাম উল্লেখ না করলেও চলতি বিতর্কে তাঁর এই মন্তব্য সরকারের ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাঠানের একটি গানের দৃশ্যে গেরুয়া রঙের বিকিনিতে দেখা গিয়েছিল দীপিকা পাড়ুকোনকে। তারপরই বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ তুলে সিনেমাটিকে বয়কট করার দাবি তোলে। সেই গানের দৃশ্যের কিছু অংশ অবশ্য কাটছাঁট করার প্রস্তাব দেয় সেন্সর বোর্ড। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রেক্ষাগৃহগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও এই বিতর্কে জানান, সিনেমাটিতে হিন্দুধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। অপর দিকে ইতিমধ্যেই পাঠান সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মাত্র ২ দিনেই ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে সিনেমাটি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর এই মন্তব্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পুরনো রণং দেহি অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।