Shivraj Chauhan

গো-মন্ত্রিসভা গড়বেন শিবরাজ

২০১৮ সালে গো-মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ গরু সংরক্ষণ বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্বামী অখিলেশ্বরানন্দ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

গরুদের রক্ষা করতে গো-মন্ত্রিসভা (কাউ ক্যাবিনেট) গঠন করবে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান আজ টুইট করে এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্র, বন, পশুপালন-সহ সাতটি দফতর এই গো-মন্ত্রিসভার অংশ হবে।

Advertisement

গো-মন্ত্রিসভার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে শিবরাজ নিজের টুইটার হ্যান্ডলে হিন্দিতে লিখেছেন, ‘‘রাজ্যে গরুদের সুরক্ষা এবং তাদের বৃদ্ধির জন্য গো-মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশুপালন, বন, পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ বিকাশ, রাজস্ব, স্বরাষ্ট্র এবং কিসান কল্যাণ দফতরকে গো-মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২২ নভেম্বর গোপাষ্টমীর দিন বেলা ১২টা নাগাদ আগর-মালওয়ার গরু অভয়ারণ্যে গো-মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক বসবে।

সূত্রের খবর, গো-মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। ২০১৮ সালে গো-মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ গরু সংরক্ষণ বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্বামী অখিলেশ্বরানন্দ। আজ তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে গরু মন্ত্রিসভা গঠন অত্যন্ত জরুরি।মুখ্যমন্ত্রী এক জন কৃষক। আমি এই কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সব রকম সাহায্য করবো।’’ অখিলেশ্বরানন্দের দাবি, গো-মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সঙ্গিনীর খোঁজে ৩,০০০ কিলোমিটার পাড়ি মহারাষ্ট্রের ‘বিবাগী’ বাঘের

শিবরাজের গো-মন্ত্রিসভা ঘোষণার সিদ্ধান্তে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধীদের মতে, স্রেফ রাজনীতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, গো-পালন বা পশুপালনে উৎসাহ দানের জন্য তো পশুপালন দফতরই রয়েছে, তা হলে গো-মন্ত্রিসভার দরকার কী? বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র দীপক বিজয়বর্গীয়ের দাবি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতেই গো-মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত। এর ফলে, গ্রামাঞ্চলে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। তাঁর যুক্তি, ‘‘ গরুকে কেন্দ্র করেও একটা অর্থনীতি গড়ে উঠতে পারে। গো-মন্ত্রিসভার মাধ্যমে গো-অর্থনীতির মজবুত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় সরকার। এই অর্থনীতি গ্রামীণ রোজগারের পথকে সুগম করবে।’’ তাঁর মতে, গো-পালনকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে যে অর্থনীতি গড়ে উঠবে, তা প্রমাণ করবে ওই অর্থনীতি অনেক বেশি পরিবেশ-বান্ধব।

আরও পড়ুন: ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে বলল রাষ্ট্রপুঞ্জও

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement