পুণেয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
পুণের পোর্শেকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কিশোরের মা শিবানী আগরওয়ালকে এ বার গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রমাণ কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর আগে এই ঘটনায় কিশোরের বাবা এবং ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পুণের রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ঘটনার সময় মত্ত ছিল কিশোর। সেই তথ্য আড়াল করতে সরকারি হাসপাতালে তার রক্তের নমুনা অন্য কারও সঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছিল বলে আগেই দাবি করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সসুন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওরে, চিফ মেডিক্যাল অফিসার হরি হলনোর এবং এক পিয়োনকে।
তবে কার সঙ্গে কিশোরের রক্তের নমুনা পাল্টানো হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আদালতে পুলিশ দাবি করেছিল, অভিযুক্তের রক্তের নমুনা কোনও মহিলার সঙ্গে বদল করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই নাবালকের বদলে তার মায়ের রক্তের নমুনা দেওয়া হয়েছিল সসুন হাসপাতালে। সেই মহিলা রক্ত পরীক্ষার সময়েও উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন কিশোরের মা। সূত্রের খবর, শনিবারই তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তার পর তা আগের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তার পর তাঁকে জেরা করা হবে।
অন্য দিকে, অভিযুক্তকে প্রথমে জামিন দিলেও পরে তাকে আটক করে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে সে। তদন্তের স্বার্থে সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে জুভেনাইল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। চিঠিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অনুমতি মিলেছে।