দাভোসে বসেই সকালে বালাসাহেব ঠাকরের জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেই মোদীকে বিঁধেই উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করলেন, পরের লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে একাই লড়বে শিবসেনা। ছেলে আদিত্যকেও উত্তরাধিকারী করে তুলতে নিয়ে এলেন দলের কর্মসমিতিতে।
‘একলা চলো’র ঘোষণা হলেও কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকারের থেকে এখনই সমর্থন তুলছেন না উদ্ধব। ফলে মহারাষ্ট্রে সরকার পড়ছে না। কিন্তু এ ঘোষণা মহারাষ্ট্র ও জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী রাজনীতির নতুন অক্ষের ক্ষেত্র প্রস্তুত করল। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার অভিন্ন ‘শত্রু’ হয়ে উঠল বিজেপিই।
কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব এখন শরদ পওয়ারের সঙ্গে তড়িঘড়ি জোট গড়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের। যাতে এনসিপি বিজেপি-মুখী না হয়। গুজরাতে রাজ্যসভা ভোটে আহমেদ পটেলকে ভোট না দেওয়ার পর থেকে যে পওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে রাহুল গাঁধীদের। উদ্ধবও পরের ভোট পর্যন্ত সময় নিয়ে চাইছেন নিজের দলের ভাঙন ঠেকাতে ও ফের মহারাষ্ট্রের ‘দাদা’ হতে। জাতীয় স্তরেও নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন উদ্ধব।
আজ সবচেয়ে পুরনো সঙ্গীর ‘বিচ্ছেদ’ বার্তা পেয়ে অস্বস্তিতে মোদীর দল। কিন্তু ঘরোয়া স্তরে বিজেপি নেতারা বলছেন, মুম্বই পুরসভায় ক্ষমতা হারাতে চান না উদ্ধব। আবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির কাছে ‘ছোট ভাই’ হয়ে যাওয়ার কাঁটাও গলা থেকে বের করতে পারছেন না। তাই ফাঁপা হুঙ্কার দিচ্ছেন। দাভোসেই তাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেছেন, ‘‘জোট সরকার মেয়াদ পূর্ণ করবে। আবারও জোট হবে।’’
কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ বলেন, ‘‘শিবসেনার ঘোষণা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত কথা রাখলে হয়। কংগ্রেস-এনসিপি একসঙ্গে লড়লে মহারাষ্ট্রে বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’’ উদ্ধবও মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীরা একজোট হওয়ায় গুজরাতে কংগ্রেসের কী করে ফায়দা হয়েছে।