—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দলে কায়েমি স্বার্থ ও ক্ষুদ্র দলাদলির রাজনীতি প্রবল বলে তোপও দেগেছিলেন। এ বার মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসেরই শরিক দল শিবসেনার হাত ধরে ফের রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী ঊর্মিলা মাতণ্ডকর। রাজ্য বিধান পরিষদে তাঁকে মনোনীত করতে চলেছে শিবসেনা। দলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবেও তাঁকে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়লেও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে ফের মানুষের সেবায় নিজেকে ব্রতী করে তুলবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন ঊর্মিলা। তবে কংগ্রেসেরই শরিক দল শিবসেনার হাত ধরে রাজনীতিতে দ্বিতীয় ইনিংস খেলার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে ঊর্মিলা বিশেষ চিন্তিত নন, এ ব্যাপারে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথাও সেরে ফেলেছেন তিনি। শিবসেনার প্রধান মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা হয়েছে ঊর্মিলার। শিবসেনা মনোনীত সদস্য হতে রাজি হয়েছেন তিনি।’’
রাজ্য বিধানসভার উচ্চকক্ষের জন্য রাজ্যপালের কোটায় ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে ১২ জনের নাম সুপারিশ করার কথা শিবসেনা নেতৃত্বাধীন ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’ জোটের। এর আগে কংগ্রেসের তরফে ঊর্মিলার নাম মনোনয়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় ঊর্মিলাকে নিয়ে কংগ্রেস নেতারা ইতস্তত করছিলেন। তার জেরে শিবসেনাই অভিনেত্রীকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: কমল নাথ আর ‘তারকা প্রচারক’ নন, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু ঘিরে গত কয়েক মাস ধরে যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে, তাতে মহারাষ্ট্র সরকার, মুম্বই পুলিশ এবং বলিউডের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কঙ্গনা রানাউত এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এই ঘটনায় আগাগোড়া কঙ্গনার বিরুদ্ধেই সরব ছিলেন ঊর্মিলা। মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলার পরও কঙ্গনাকে কেন ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী তথা সাংসদ জয়া বচ্চনের প্রতি কঙ্গনার ভাষার ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাতেই শিবসেনা নেতৃত্বের সুনজরে পড়েন তিনি। তাই শুধু বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবেই নয়, ঊর্মিলাকে দলের মুখপাত্র হিসেবেও নিয়োগ করার পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন: জবাব দিন মমতা, রাহুল, পাক মন্ত্রীর পুলওয়ামা-মন্তব্যের জেরে দাবি বিজেপির
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্যপালের কাছে মোট ১২ জনের নাম পাঠাতে হবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে। সেই হিসেবে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস, প্রত্যেক দল থেকেই তিন জন করে সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে এনসিপি-তে যোগ দেওয়া একনাথ খাড়সের নাম রয়েছে। কৃষক আন্দোলনের নেতা রাজু শেট্টির নামও সুপারিশ করেছে এনসিপি। কংগ্রেসের তরফে কাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঊর্মিলা ছাড়া বাকিদের নাম এখনও সামনে আনেনি শিবসেনাও।