ছবি পিটিআই।
স্নায়ুযুদ্ধে বিজেপির উপর আরও চাপ বাড়াল শিবসেনা।
দেবেন্দ্র ফডণবীসকে দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানোর জন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জাঁকজমক করে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এরই মধ্যে আজ শরিক শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ ভাগের দাবি থেকে সরছে না তারা। আজ মুম্বইয়ে শিবসেনার পরিষদীয় দলের বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, কোনও শিবসৈনিককেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান। দলের বিধায়কদের সামনে শিবসেনা প্রধান জানিয়ে দেন, সরকার গড়ার ব্যাপারে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। আজ সন্ধেতেই এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। যা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। তার আগে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ বিজেপির সঙ্গে সমান ভাবে ভাগ করার ব্যাপারে উদ্ধবের মন্তব্য, ‘‘ওরা (বিজেপি) আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই আমাদের বক্তব্য জানাচ্ছি। ভোটের আগে বিজেপির সমস্যার দিকে আমরা নজর দিয়েছি। তবে এখন আমাকেও দল চালাতে হবে।’’
ফডণবীসের মন্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন উদ্ধব। জানিয়ে দেন, সরকার গড়তে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না শিবসেনা। দলের মুখপত্র ‘সামনা’তেও বিজেপিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পরে শিবসেনার থেকে নিজেদের আলাদা করেছিল বিজেপি। শরিককে ব্যবহার করে এখন দ্বিতীয়বারের জন্য ছুড়ে ফেলতে চাইছে তারা। কারণ, জোট গড়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ফডণবীস বলেছিলেন, সব সরকারি পদ ভাগ করে নেওয়া হবে। কটাক্ষ করে সামনা লিখেছে, ‘‘এই সরকারি পদের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি না থাকে, তা হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠক্রম নতুন করে লিখতে হবে।’’
শিবসেনার পরিষদীয় দলের বৈঠকে আদিত্য ঠাকরের প্রস্তাব মতো একনাথ শিন্ডে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এই বৈঠকের পরেই আদিত্যের নেতৃত্বে দলের বিধায়কেরা রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন। দাবি তোলেন, খরার জন্য লোকসান হওয়া কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করা হোক। শিবসেনা সূত্রের দাবি, সরকার গঠনের বিষয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে আদিত্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।