প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চার মাসের মাথায় প্রথম বার মন্ত্রিসভার সতীর্থদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আসরে হাজির রইলেন শিবসেনার অনন্ত গীতেও।
গতকালই দু’টি রাজ্যে জয় পেয়েছে বিজেপি। হরিয়ানায় একার জোরে। আর মহারাষ্ট্রে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পরে বিরোধীরা বলতে শুরু করেছিলেন লোকসভায় মোদী ঝড়ের প্রভাব স্তিমিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু গতকালের ভোটের ফলের পরে বিজেপি বলতে শুরু করেছে, মোদী ঝড় নয়, মোদী সুনামির প্রভাব রয়েছে দেশে।
তারপরেই আজ নৈশভোজের আয়োজন করায় রাজনৈতিক শিবিরে গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি জয়ের খুশিতে এই নৈশভোজ! বিজেপি শিবির অবশ্য তা মানতে নারাজ। বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন, পরিকল্পনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সামনেই দীপাবলি। উৎসব পালনে অধিকাংশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেদের কেন্দ্রে চলে যাবেন। তাছাড়া দু’রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াতেও সামিল হবেন বেশ কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় অধিকাংশ মন্ত্রী দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন। তাই আর দেরি না করে এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে বিজেপির সঙ্গে স্নায়ুর লড়াই চলছে শিবসেনার। ফলে নৈশভোজে গীতে আসবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে শিবসেনা নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে দলের জোট এখনও আছে। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি নৈশভোজে গিয়েছেন। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।