শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদল।—ছবি এএফপি।
‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর ৩৫তম বর্ষপূর্তিতে একগুচ্ছ আর্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদল। এনডিএ শরিক দলের এই নেতার সঙ্গে ছিল এক প্রতিনিধিদল।
১৯৮৪ সালের ৩ থেকে ৮ জুনের মধ্যে পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খলিস্তানি জঙ্গিদের উৎখাত করতে ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। অমিতের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রবীণ অকালি নেতা প্রকাশ সিংহ বাদলের পুত্র সুখবীর বলেন, ‘‘ওই সময়ে মন্দির চত্বরে থাকা শিখ গ্রন্থাগার থেকে হাজারেরও বেশি ঐতিহাসিক বইপত্র, ধর্মগ্রন্থ ও শিল্পকর্ম বাজেয়াপ্ত করেছিল সেনা। তার মধ্যে ছিল শ্রী গুরু সাহিব ও অন্য ধর্মগুরুদের স্মারকও। তা সসম্মানে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এর পাশাপাশি আরও দু’টি আর্জি জানিয়েছেন সুখবীর। তিনি জানান, ‘ব্লু-স্টার’-এর সময়ে বাহিনী ছেড়েছিলেন শিখ ধর্মাবলম্বী ৩০৯ জন সেনা। তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই প্রাক্তন সেনাদের অন্তত ১০০ জন এখনও জীবিত। তাঁদের জন্য পুনর্বাসন ও পেনশনের আর্জি জানিয়েছেন অকালি নেতা। অন্য আর্জিটি গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন সংক্রান্ত। চার মাস পরেই ওই অনুষ্ঠান পালন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। যার অঙ্গ হিসেবে পঞ্জাব থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে গুরু নানকের জন্মস্থান পর্যন্ত ‘নগর কীর্তন’ বা পদযাত্রার পরিকল্পনাও রয়েছে। সুখবীর বলেন, ‘‘আমরা আর্জি জানিয়েছি, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি এবং দিল্লি শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির যৌথ উদ্যোগে ‘নগর কীর্তন’ আয়োজিত হোক। বিষয়টির সাফল্যের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে জনসংযোগ করুক সরকার।’’
আজ মোটামুটি সকালের কয়েক ঘণ্টা স্বর্ণ মন্দিরের আশেপাশে ছিল বন্ধের চেহারা। দোকানপাট খোলে দুপুর নাগাদ। বন্ধের ডাক দিয়েছিল কট্টরপন্থী শিখ সংগঠন ‘দল খালসা’। সেনা অভিযানে নিহতদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে ‘অকাল তখ্ত’। জমায়েতের মধ্যে অনেকের হাতেই দেখা যায় খোলা তলোয়ার। কেউ কেউ পরেছিলেন ‘ব্লু-স্টারে’ নিহত খলিস্তানি জঙ্গি নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালের ছবি দেওয়া টি-শার্ট। নেতারা দাবি তোলেন, ব্লু-স্টার সংক্রান্ত সমস্ত নথি প্রকাশ করুক কেন্দ্র। ফিরিয়ে দেওয়া হোক বাজেয়াপ্ত করা গ্রন্থপঞ্জি ও স্মারক।