শিমলা পুরভোটে বিপুল জয়ের পর সমর্থকদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখুও। ছবি— পিটিআই।
শিমলা পুর নিগমের ভোটে দাপুটে জয় পেল কংগ্রেস। গণনা শেষ হওয়ার পর জানা যায়, ৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ড একাই জিতেছে কংগ্রেস। সব ওয়ার্ডে লড়ে বিজেপি আটকে গিয়েছে ৯টি আসনে। চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়ে একটিতে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী। জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু।
গত ২ মে শিমলা পুর নিগমে ৩৪টি ওয়ার্ডে ভোট হয়। দিনভর বৃষ্টি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভোটের হার ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। ৩৪ ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস এবং বিজেপি। আপ ২১টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মোট চারটি ওয়ার্ডে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। বৃহস্পতিবার গণনা শুরু হতেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে কংগ্রেস। দিনের শেষে দেখা যায় ৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। সব ক’টি ওয়ার্ডে লড়ে বিজেপি জিতেছে ৯টিতে। সিপিএম জিতেছে একটি ওয়ার্ড। ২১টিতে লড়েও খাতা খুলতে পারেনি অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ। যা ফল, তাতে শিমলার মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র— দু’টি পদই হাতে রাখতে চলেছে কংগ্রেস।
ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর শিমলা পুরসভা দখলের ব্যাপারেও শুরু থেকেই আশাবাদী ছিল কংগ্রেস। অন্য দিকে, বিধানসভা হাতছাড়া হওয়ার পর শিমলা পুরসভাকেই পাখির চোখ করে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, ডিসেম্বরে যে কংগ্রেসের হাতে হিমাচলের শাসনভার ছেড়েছিলেন মানুষ, শিমলা পুরনিগমেও তার ব্যতিক্রম হল না। ২০১৭ এবং ২০২২ সালে শিমলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোটে গেরুয়া প্রার্থীদের রমরমা থাকলেও এ বার তাদের থামতে হল ৯টি ওয়ার্ড নিয়েই।
দলীয় প্রার্থীদের বিপুল জয়ের পর রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখু। তিনি বলেন, ‘‘আমি শিমলার প্রতিটি বাসিন্দাকে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শিমলাকে অনেকে ভালবেসে ‘মিনি হিমাচল’ বলেও ডাকেন। আমরা এ বার শিমলা পুরনিগমে ঐতিহাসিক জয় পেলাম। গত ১০ বছরে যা হয়নি। মানুষ আমাদের উপর যে ভরসা দেখিয়েছেন তা কাজের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’