বছর শেষের চেনা ভিড় নেই হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহরে। ছবি: সংগৃহীত।
বছর শেষের চেনা ভিড় নেই হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহরে। পর্যটকেরা শিমলা বেড়াতে এসেছেন ঠিকই, তবে হোটেলগুলিতে ভিড় তুলনায় অনেক কম। বরং এ বছর দলে দলে মানুষ ভিড় বাড়িয়েছেন পাশেই আর এক শহরে।
বছর শেষের ভিড়ে এ বছর শিমলার থেকে এগিয়ে আছে মানালি। কুলু জেলার অন্য শহরেও ঘুরতে যাচ্ছেন মানুষ। তবে শিমলায় অন্যান্য বারের তুলনায় ভিড় খানিক কম।
এ বছর শিমলার হোটেলগুলি ৩১ ডিসেম্বর ৮০ শতাংশ পূর্ণ ছিল। যা গত ৪০ বছরের নিরিখে সবচেয়ে কম। বছরের শেষে এই ভরা শীতের মরসুমে সাধারণত ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ পূর্ণ থাকে শিমলার হোটেল। অন্য দিকে, মানালির হোটেলগুলিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যটক রয়েছেন ৯০ শতাংশ। বর্ষশেষে প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ মানালি। শিমলা থেকে যার দূরত্ব ২৪৮ কিলোমিটার।
কেন পর্যটকের ভিড়ে শিমলাকে ছাপিয়ে গেল কুলু, মানালি? নেপথ্যে একাধিক কারণ দেখছেন স্থানীয়রা।
মানালির তুষারপাত, অটল টানেল দেখার উন্মাদনা, লাহৌল এবং স্পিতির নতুন ফটক কুলুতে এ বছর বেশি পর্যটক টেনেছে বলে মনে করছেন হিমাচলের হোটেল ইন্ডাস্ট্রির কর্মচারীরা।
শিমলায় এ বছর আগে থেকে বুকিং ছাড়া পর্যটকদের গাড়িই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু কড়াকড়িও করা হয়েছে রাজ্যের রাজধানী শহরে। বিশেষত, গত বছর ১ জানুয়ারিতে শিমলায় বোমাতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। তার প্রভাবও এ বছর পর্যটকদের মধ্যে পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বছরের শেষ দিন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু শিমলার মাল রোড পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলেন। সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।