(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং (ডান দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে মোদী আলাপচারিতা করবেন নিজের বাসভবন, ৭ লোককল্যাণ মার্গে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে জি২০ দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশ ওই গোষ্ঠীর সদস্য নয়। কিন্তু ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে কূটনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে যখন আমেরিকা আওয়ামী লীগ সরকারের উপরে বিভিন্ন ভাবে প্রবল চাপ তৈরি করছে, তখন নয়াদিল্লিতে সফরকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কি বৈঠক হবে হাসিনার? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে নৈশভোজে এবং সম্মেলন কক্ষে বাইডেনের সঙ্গে হাসিনার ‘দেখা হয়ে যাবে’ বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বৈঠক করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গেও। ফরাসি প্রেসিডেন্ট দিল্লি থেকেই চলে যাবেন ঢাকা। সেই কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও জি২০ শীর্ষবৈঠক শেষ করেই স্বদেশে ফিরবেন।