ডান দিকে বিধি মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
এক মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত তিনি, অন্য মেয়েকে দেখে জ্ঞান হারালেন।
আদালতের ভেতরেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। আদালতে সোমবার হাজির ছিলেন সঞ্জীব-ইন্দ্রাণীর একমাত্র মেয়ে বিধি। ইন্দ্রাণীর সঙ্গে তার আদালতের ভেতরে দেখা হয়। মাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণী বিধি। আর মেয়েকে দেখার পর নিজেকে সামলাতে পারেননি ইন্দ্রাণী। তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান আদালতের ভেতরেই।
সোমবার দুপুরে আদালত চত্বরে ঢোকার সময় দৃশ্যত তাঁকে বেশ দৃঢ় লাগছিল। গত এক সপ্তাহে পুলিশি জেরার মুখে তিনি এক বারের জন্যও ভেঙে পড়েননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ক’দিনে শিনা হত্যা মামলায় একের পর এক নতুন তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। আর ক্রমশ নতুন নতুন অভিযোগের জালে জড়িয়ে পড়েছেন টিভি ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যের স্ত্রী ইন্দ্রাণী। কিন্তু, কখনও তার মুখে অনুশোচনার ভাঁজ দেখা যায়নি। কিন্তু, এ দিন আদালতে যেন অন্য ইন্দ্রাণীকে দেখা গেল!
এ দিন মুম্বইয়ের আদালত তাঁকে গ্রেফতারের পর তাঁকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার সেই মেয়াদের শেষ দিনে তাঁকে ফের আদালতে হাজির করে মুম্বই পুলিশ। আদালত এ দিন ইন্দ্রাণী, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং গাড়িচালক শ্যাম রাইকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এত দিন শুধু মেয়ে শিনা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন ইন্দ্রাণী। এ দিন মুম্বই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ছেলে মিখাইল বরাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ এনেছে। মিখাইল এর আগে জানিয়েছিলেন, ইন্দ্রাণী তাঁকে বেশ কয়েক বার খুনের চেষ্টা করে। এমনকী, তাঁকে খুন করতে এক জন ভাড়াটে খুনিকেও নিয়োগ করেন তিনি। মিখাইলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশ ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ইন্দ্রাণীর উপর শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালতের কাছে তাঁরা ইন্দ্রাণীকে বাড়ি থেকে আনা খাবার খেতে দেওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু, আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে পুলিশ ইন্দ্রাণীকে মেরে ফেলতে পারে বলে ওই আইনজীবীরা বিচারকের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।