Ankita Bhandari

‘ও তোর সঙ্গেই ছিল, ধামাচাপা দিতে নাটক করছিস?’ অঙ্কিতার বন্ধুকে পুলকিতের ধমকানোর অডিয়ো ফাঁস

খুনের পর অঙ্কিতার দেহ খালে ফেলে দিয়েছিলেন পুলকিতরা। শুধু তাই-ই নয়, বিষয়টিকে এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করেন, যাতে অঙ্কিতার দেহ খুঁজে না পাওয়া গেলে তাঁর পরিবার পুষ্পকেই যেন দায়ী করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৪
Share:

অঙ্কিতা হত্যাকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য।

অঙ্কিতা হত্যাকাণ্ডে পুলকিতের কথোপকথনের দু’টি অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যে অডিয়োয় অঙ্কিতার এক বন্ধুকে ধমকাতে শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতার ছেলে তথা অভিযুক্ত পুলকিত আর্যকে। যদিও দু’টি অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। কী শোনা যাচ্ছে ওই অডিয়ো ক্লিপে?

Advertisement

পুষ্প (অঙ্কিতার বন্ধু): কাল রাতে অঙ্কিতা কেন আপনার ফোন ব্যবহার করছিল?

পুলকিত (অভিযুক্ত): ওর ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে ফোন চেয়েছিল। রাতে খুব একটা প্রয়োজন হবে না বলে আমার ফোনটা অঙ্কিতাকে দিয়েছিলাম।

Advertisement

পুষ্প: তা হলে কাল ওর কাছে ফোন ছিল! তাই তো? কিন্তু আশ্চর্য হচ্ছি যে, অঙ্কিতার কাছে ফোন থাকা সত্ত্বেও কেন আমার সঙ্গে এক বারও যোগাযোগ করেনি! এমনকি, আমি নিজে ওকে তিন বার ফোন করার চেষ্টা করি। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল।

ঘটনাচক্রে, অঙ্কিতা তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন যে, সাড়ে ৮টার মধ্যে রিসর্টে ফিরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও অঙ্কিতা যখন যোগাযোগ করছিলেন না, তখন বন্ধুরা বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন অঙ্কিতার সঙ্গে। কিন্তু ফোন পরিষেবা সীমার বাইরে ছিল বলেই দাবি করেছেন অঙ্কিতার বন্ধুরা। তাঁদের মধ্যেই এক জন ছিলেন পুষ্প। তিনি অঙ্কিতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে সরাসরি পুলকিতকে ফোন করেন। সেই কথোপকথনই প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কথোপকথনের সময় পুলকিতকে যখন চেপে ধরেছিলেন পুষ্প, সেই সময় তাঁকে ধমকান পুলকিত। তাঁকে উল্টো চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। অডিয়ো ক্লিপে পুলকিতকে কী বলতে শোনা যায়?

পুলকিত: আমার তো মনে হয়, অঙ্কিতা তোর সঙ্গেই আছে। তাই না? তোর সঙ্গে অঙ্কিতার কিছু একটা চলছে। আর এ বিষয়টি ওর পরিবার জানতে পেরেছে। তাই দেখছি, তোর সঙ্গে কথা বলার পর থেকেও অঙ্কিতা কেমন যেন মনমরা হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তুই নাটক করছিস?

পুলিশ সন্দেহ করছে খুনের পর অঙ্কিতার দেহ খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুলকিতরা। শুধু তাই-ই নয়, বিষয়টিকে এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন, যাতে অঙ্কিতার দেহ খুঁজে না পাওয়া গেলে অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যরা পুষ্পকেই এর জন্য দায়ী করেন। পুষ্পের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। যে হেতু অঙ্কিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন পুষ্প, তাই অঙ্কিতাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে স্বাভাবিক ভাবেই পুষ্পকেই সন্দেহ করত পরিবার। পুলিশ এখন এই অডিয়োর সত্যতা খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement