শশী তারুর— ফাইল চিত্র।
করোনা অতিমারির জেরে বিশ্বজুড়ে বেহাল অর্থনীতি। কিন্তু সঙ্কটের সেই আবহেও ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের মতে, কোভিড-১৯ অভিঘাত থেকে আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লড়াইয়ে চিনই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। সেই সঙ্গে তাঁর মত, আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে চিন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শশী এদিন টুইটারে লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার সদর দফতর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির রাজধানীতে হওয়ার কথা। গত ৭৫ বছর ধরে তা ওয়াশিংটনে অবস্থিত। কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে কি তা এ বার বেজিংয়ে স্থানান্তরিত হবে?’
অন্য একটি টুইটে শশীর মন্তব্য, ‘আইএমএফ নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে বড় আর্থিক শক্তিগুলির মধ্যে একমাত্র চিনের বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। চিনের বৃদ্ধির হাল হবে ১.৯ শতাংশ। আমেরিকার অর্থনীতি ৪.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। আইএমএফের পূর্বাভাস, পরের অর্থবর্ষে চিনের বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশে পৌঁছতে পারে। আমেরিকার বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৩.১ শতাংশে’।
আরও পড়ুন: চিনকে চাপে রাখতে তাইওয়ান তাস নয়াদিল্লির, বাড়ছে বাণিজ্যিক যোগাযোগ
গত সপ্তাহে আইএমএফ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ (ডব্লিউইও) রিপোর্টে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির অভিঘাতে বিশ্বজুড়ে জিডিপি ৪.৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে। ভারতে জিডিপির হার কমতে পারে ১০.৩ শতাংশ পর্যন্ত। জুন মাসে আইএমএফ জানিয়েছিল, ভারতের জিডিপি ৪.৫ শতাংশ কমতে পারে।
কিন্তু কিন্তু তার মাস চারেকের মাথাতেই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (যা ২০২১ সালের মার্চে শেষ হচ্ছে) ভারতের মাথা পিছু জাতীয় উৎপাদন দাঁড়াবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। সেখানে বাংলাদেশের মাথা পিছু জাতীয় উৎপাদন হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোটে কোটিপতি প্রার্থী ১৫৩
অন্যদিকে, চিন আর্থিক বৃদ্ধির লড়াইয়ে আমেরিকাকে টেক্কা দেবে বলেও জানিয়েছে আইএমএফ।