শার্পশুটার বেঙ্কটেশ। (বাঁ দিকে)। দাঁতালটিকে বাগে আনার চেষ্টা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আহত দাঁতাল ভীমাকে কিছুতেই বাগে আনতে পারছিল না কর্নাটকের হাসন জেলার বনদফর। ফলে ভীমার চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিল না। পশু চিকিৎসকদেরও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ ভীমাকে কোনও ভাবেই ধরা যাচ্ছিল না। বরং সেটি আরও হিংস্র হয়ে উঠেছিল। এই অবস্থায় দাঁতালটিকে দ্রুত বাগে আনা জরুরি হয়ে পড়ে়।
কোনও কৌশলই যখন কাজে আসছিল না, শেষমেশ ভাড়া করে নিয়ে আসা হয় এক শার্পশুটারকে। বৃহস্পতিবার আলুক তালুকে ভীমার খোঁজ চালাচ্ছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। এ ছাড়াও ওই দলে ছিলেন পশু চিকিৎসক এবং শার্পশুটার বেঙ্কটেশ। বন দফতর সূত্রে খবর, ভীমাকে ঘুমপাড়ানি গুলি মেরে কাবু করাই ছিল লক্ষ্য। আর এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ শার্পশুটার বেঙ্কটেশকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়। অন্য একটি দাঁতালের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে জখম হয়েছিল ভীমা। তার পর থেকে সেই অবস্থাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল দাঁতালটি।
বন দফতর সূত্রে খবর, বছর চৌষট্টির বেঙ্কটেশ এক জন অবসরপ্রাপ্ত বনাধিকারিক। বন্য পশুদের বাগে আনাতেও যথেষ্ট দক্ষ তিনি। বৃহস্পতিবার ভীমাকে বাগে আনার জন্য যখন জোর প্রস্তুতি চলছে, সেই সময়েই অঘটন ঘটে যায়। বেঙ্কটেশ বন্দুক নিয়ে ভীমাকে তাক করে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিতেই সেটি তাঁর দিকে তেড়ে আসে। দাঁতালটি আচমকা সামনে পালানোর চেষ্টা করেন বেঙ্কটেশ। কিন্তু সেটিও পিছু পিছু তাড়া করে। বেশ কিছু দূর তাড়া করার পর বেঙ্কটেশকে নিজের নাগালে পেয়ে যায় দাঁতালটি। তার পর তাঁকে পিষে মারে হাতিটি।