ফাইল চিত্র
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা চেষ্টা করছেন, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব, মায়াবতীকে সরিয়ে নিজেকেই প্রধান বিজেপি-বিরোধী মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু শরদ পওয়ার মনে করেন, উত্তরপ্রদেশে একমাত্র অখিলেশ যাদবের এসপি-ই যোগী সরকারের সঙ্গে সমানে সমানে লড়তে সক্ষম। তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত সব বিরোধী দলের। এনসিপি নেতাদের বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে বাকিদের এককাট্টা করতে পওয়ার ‘সমমনস্ক’ রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।
এনসিপি-র শীর্ষ সূত্রের খবর, অখিলেশের হয়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন পওয়ার। এতে কংগ্রেস নেতাদের রক্তচাপ বেড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পওয়ারও কংগ্রেসকে বিরোধী শিবিরে খাটো দেখাতে চাইছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যেমন নিয়মিত কংগ্রেসকে নিশানা করছে, তেমনই পওয়ারও সম্প্রতি কংগ্রেসকে সাবেক আমলের জমিদারের তকমা দিয়েছেন, যার জমিজমা-হাভেলি কিছুই নেই।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও পওয়ার মমতার হয়ে কলকাতায় গিয়ে প্রচার, সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য পওয়ারকে চিঠি লিখে অনুরোধও করেন, যাতে তিনি মমতার হয়ে প্রচার না করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি।
পওয়ার উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের হয়ে প্রচারে নামলে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে পড়তে হবে। কারণ এসপি, বিএসপি, কংগ্রেসের মধ্যে এখনও জোটের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং লখিমপুরের ঘটনাকে সামনে রেখে প্রিয়ঙ্কা নিজেকে অখিলেশ-মায়াবতীর থেকেও বেশি সক্রিয় হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করছেন।
শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত আজ দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে রাউত বলেন, ‘‘লখিমপুর খেরির হিংসা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের দমনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়া প্রয়োজন।’’ পওয়ার আজ দিল্লিতে বলেন, ‘‘লখিমপুরে জালিয়ানওয়ালা বাগের পরিস্থিতি তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে খেসারত দিতে হবে। বিজেপি শুধু উত্তরপ্রদেশে নয়, গোটা দেশেই এর জবাব পাবে।’’ এনসিপি সূত্রের ব্যাখ্যা, উত্তরপ্রদেশে তিনটি বিরোধী দল আলাদা লড়লে বিজেপিরই সুবিধা। পওয়ার তাই বিরোধীদের এককাট্টা হতে বলছেন। উত্তরপ্রদেশে এসপি, এনসিপি জোট হবে বলে আগেই অখিলেশ-পওয়ার কথা হয়েছে। পওয়ার দিল্লিতে আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ, এসপি-র রামগোপাল যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে কংগ্রেসের অখিলেশ প্রসাদ সিংহও ছিলেন। পওয়ার আজ কংগ্রেসের অন্যতম বিক্ষুব্ধ নেতা মণীষ তিওয়ারির সঙ্গেও বৈঠক করেন।