ছবি: পিটিআই।
বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রেখে তিনিই মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট তৈরিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন। সেই শরদ পওয়ার আজ দাবি করলেন, তিনি কখনও ভাবেননি মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বেন। এমনকি শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলানোর কথাও তাঁর ভাবনায় ছিল না।
গত কালই পওয়ার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ‘একসঙ্গে কাজ করা’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রে টানাপড়েনের সময়েও বিজেপির প্রস্তাব পেয়েছিল এনসিপি। পওয়ারের দাবি, সেই প্রস্তাব ছিল তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শামিল করার। কিন্তু পওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পওয়ারের এই বক্তব্য মোদী সরকার বা বিজেপি, কেউই খারিজ করেনি। ফলে কংগ্রেসের নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় প্রশ্ন তুলেছেন, মহারাষ্ট্রে কি প্রধানমন্ত্রী নিজেই ‘ডিল’ করছিলেন? নিজেই কি ঘোড়া কেনা-বেচায় নেমে পড়েছিলেন তিনি?
আরও পড়ুন: মোদীর সফর বাবদ এয়ার ইন্ডিয়া পাবে ৪৫৯ কোটি
আজ সুপ্রিয়া নিজে অবশ্য একে প্রধানমন্ত্রীর ‘মহত্ব’ বলেছেন। কিন্তু এ-ও জানান, পওয়ার মোদীকে বিনয়ের সঙ্গে ‘না’ বলে ঠিকই করেছিলেন। সুপ্রিয়ার কথায়, ‘‘উনি শুধু আমার বাবা নন, বস-ও। আর আপনারা জানেন, বস ইজ অলওয়েজ রাইট।’’ পওয়ার-মোদী কথা নিয়ে সুপ্রিয়ার ব্যাখ্যা, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মতাদর্শগত ফারাক থাকলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শরদের ভাইপো অজিত পওয়ার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছিলেন। পরে পদত্যাগ করে ফিরে আসেন অজিত। আজ শরদ বলেন, তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনার সময়ে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় হয়েছিল। তিনি রেগে বৈঠক ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অজিত তাতে ক্ষুব্ধ হল। তাঁর মনে হয়, যদি শরদ পওয়ারের সঙ্গেই কংগ্রেস এমন ব্যবহার করে, তা হলে তাঁর কী দশা হবে! এর পরেই তাঁর সঙ্গে দেবেন্দ্র ফডণবীসের যোগাযোগ হয়। পওয়ারের দাবি, ‘‘ফডণবীসের সঙ্গে অজিত কথা বলছে, তা জানতাম। কিন্তু সে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবে বলে আঁচ করতে পারিনি।’’