শরদ পাওয়ার। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ার। পুণেয় একটি সমাবেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে পওয়ার আজ বলেন, কৃষকদের বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল ছিলেন মনমোহন সিংহ। এক বার মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে কিছু কৃষকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে মনমোহন নিজে সেখানে চলে গিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে পওয়ারের দাবি, এখন এই সব নিয়ে কেউ মাথাই ঘামায় না।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে পুণের বারামতীতে নতুন প্রযুক্তিকেন্দ্র গঠনে আদানির অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন এনসিপি-র এই নেতা। শুধু ধন্যবাদই নয়, গৌতম আদানির মানবিক মুখকেও তুলে ধরেছিলেন তিনি। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আজ মনমোহন সিংহকে সামনে রেখে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগাও পওয়ারের রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যেই পড়ে। এ ভাবে তিনি কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’য় তৈরি হওয়া ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
পওয়ারের কথায়, “আমার মনে আছে যে, কিছু কৃষক আত্মহত্যা করার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অমরাবতী ছুটে গিয়েছিলেন। কৃষকদের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন তিনি। সেই সময়ে ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণও মকুব করেছিলেন মনমোহন।’’ উল্লেখ্য, মনমোহনের মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রী ছিলেন শরদ পওয়ার। মোদী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘এখন কৃষকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা কেউ দেখছেন না। কৃষকদের সামনে প্রশ্ন, কী ভাবে বাঁচবেন। কৃষকরা অস্থির এবং কেন্দ্র তাদের দিকে নজর দিচ্ছে না।’’ ওই সমাবেশেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘কৃষকদের সমস্যা উত্থাপনের জন্য এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং অমল কোলহেকে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।’’ রাউত অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি ইভিএম ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জিততে পারবে না। জয়ের জন্য বিজেপি ইভিএমের উপরে নির্ভরশীল বলে কটাক্ষ করেন তিনি।