(বাঁ দিকে) শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এনসিপির ঘড়ি প্রতীক আর ব্যবহার করতে পারছেন না শরদ পওয়ার। এ বার অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীও যাতে সেই প্রতীক ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়ে নতুন করে মামলা গড়াল আদালতে। অজিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শরদ। মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে অজিতদের ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়, সেই আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন শরদ।
মামলায় শরদের আবেদন, মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অজিতদের নতুন কোনও প্রতীক বেছে নিতে নির্দেশ দেওয়া হোক। অন্যথায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করেছেন শরদ।
প্রসঙ্গত, এনসিপিতে ভাঙন ধরার পর অজিত গোষ্ঠীর এনসিপিকেই ‘আসল এনসিপি’ বলে চিহ্নিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছিল, ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার পাবে অজিতের গোষ্ঠী। শরদের গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) বরাদ্দ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগেও এক বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শরদ।
কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অজিত গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এনসিপির ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না শরদ গোষ্ঠী। তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন নতুন প্রতীক বরাদ্দ করেছে। ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’-র প্রতীক। আসন্ন নির্বাচনে সেই প্রতীকেই লড়তে হবে শরদ গোষ্ঠীকে। কিন্তু ঘড়ি প্রতীক যাতে অজিত গোষ্ঠীও নির্বাচনে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন শরদ। সেই নিয়েই এ বার নতুন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।