যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের জেলমুক্তি নিয়েও সরব হয়েছেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি, তাঁর স্বামী জাভেদ আখতার, অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। ফাইল ছবি
গরু চুরি সন্দেহে পিটিয়ে খুন বা গোমাংস বাড়িতে রাখার জন্য খুন নিয়ে আগে মুখ খুলেছেন। অতি সম্প্রতি গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের জেলমুক্তি নিয়েও সরব হয়েছেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি, তাঁর স্বামী জাভেদ আখতার, অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। আর তাতেই ক্ষিপ্ত বিজেপি। দলের আইটি সেলের সঙ্গে সুর মিলিয়েই নাসিরুদ্দিন, শাবানা, জাভেদ আখতারকেও এ বার ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্য বলে মন্তব্য করলেন মধ্যপ্রদেশের প্রভাবশালী বিজেপি মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, ‘এরা টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর স্লিপার সেলের এজেন্ট!’
কিন্তু কেন এমন মন্তব্য? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপির মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, যখনই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে কিছু হয়, এঁরা সরব হন। প্রসঙ্গত বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি নিয়ে সরব শাবানা মিছিলেও পা মিলিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিতে কিছু হলে এঁরা চুপ করে থাকেন। এর উদাহরণ হিসেবে ঝাড়খণ্ডে তরুণীকে পুড়িয়ে খুন এবং রাজস্থানে দর্জি খুনের প্রসঙ্গ তোলেন নরোত্তম। তবে একই সঙ্গে বিলকিস-প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করলেও গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি লজ্জিত বলেও জানিয়েছেন নরোত্তম।
মধ্যপ্রদেশ রাজনীতিতে নরোত্তম যথেষ্ট প্রভাবশালী। ব্যাপম-কাণ্ডে শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাম জড়ানোর পরে পরবর্তী কুর্সির দাবিদার হিসেবে নরোত্তমের নাম উঠলেও তা হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নরোত্তমের প্রভাব কমেনি। এর আগে মোদী সরকারের বিরোধিতা করায় একাধিক শিল্পীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নরোত্তম। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও সময়েই তা নিয়ে তাঁকে কোনও কড়া বার্তা দেননি। এ বারে নাসিরুদ্দিন-শাবানা-জ়াভেদ আখতারদের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের পরেও বিজেপি নেতৃত্ব কিছু বলবেন না মলেই মত বিরোধী নেতাদের।