Migrant Workers of Bengal

বাংলার আট শ্রমিককে ‘নিগ্রহ’ ওড়িশায়, অর্ধনগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ!

ওড়িশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যাওয়া বাংলার আট জন পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর করে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগে জনরোষের মধ্যে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৩
Share:

ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহের অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।

বাংলা থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যাওয়া আট জন পরিযায়ী শ্রমিককে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ ওড়িশায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সুন্দরগড়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এলাকার এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের জেরেই জনরোষের মধ্যে পড়েন ওই আট জন। বৃহস্পতিবার সকালে এক দল জনতা তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, তাঁদের হাত বেঁধে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটানো হয়েছে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্তেরা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য তাঁরা সুন্দরগড়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে রউরকেলার ডিআইজি ব্রিজেশ রাইয়ের সঙ্গে পিটিআই ফোনে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, এই ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি রুজু হয়েছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের মারধর করা এবং অর্ধনগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যে বরদাস্ত করা হবে না, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ডিআইজি। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ দু’টি মামলায় খতিয়ে দেখছে তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আট জন শ্রমিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি মারধর এবং অর্ধনগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে দশ জনকে শনাক্তও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেছেন, “আমি ঘটনাটির কথা জানতে পেরেছি এবং ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement