গোদাবরীতে নৌকাডুবি, মৃত ১২, নিখোঁজ বহু

এক বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ‘রয়্যাল বশিষ্ট’ নামের নৌকাটি দেবীপট্টনামের গান্দি পোচাম্মা মন্দির থেকে পর্যটকদের নিয়ে পাপিকোন্দালু পাহাড়ের দিকে রওনা হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমরাবতী শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

চলছে উদ্ধারকাজ। রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায়। ছবি: পিটিআই।

গোদাবরী নদীতে পর্যটকদের একটি নৌকা উল্টে মৃত্যু হল ১২ জনের। নিখোঁজ কমপক্ষে ৩০। আজ বিকেলে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে পূর্ব গোদাবরী জেলার কাচ্ছুলুরুর কাছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, নৌকাটিতে ১১ জন কর্মী-সহ মোট ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে শেষ পাওয়া খবর, তাঁদের মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে নদীর জলস্তর অনেকটাই বেশি রয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন নদীতে প্রায় ৫.১৩ লক্ষ কিউসেক বন্যার জল ঢোকে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

এক বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ‘রয়্যাল বশিষ্ট’ নামের নৌকাটি দেবীপট্টনামের গান্দি পোচাম্মা মন্দির থেকে পর্যটকদের নিয়ে পাপিকোন্দালু পাহাড়ের দিকে রওনা হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। অমরাবতী থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে কাচ্ছুলুরুর কাছে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। একটি বড় পাথরে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। নৌকার বেশির ভাগ যাত্রীই হায়দরাবাদ এবং ওয়ারাঙ্গালের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় নৌকাটির দু’জন চালকেরই মৃত্যু হয়েছে।

উদ্ধারকাজে নেমেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৪০ জন কর্মী। উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে নৌসেনার দু’টি হেলিকপ্টার এবং ওএনজিসি-র একটি হেলিকপ্টারও। উদ্ধারকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। আগামিকাল তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলায় উপস্থিত সব মন্ত্রীদের উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত ওই অঞ্চলে সমস্ত নৌকা পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন জগন্মোহন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল গাঁধীও।

Advertisement

বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইদানীং জলপথে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। তবু কী করে নৌকাটি যাত্রীদের নিয়ে জলে নামল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। নৌকাটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ে যাত্রী পারাপারের জন্য নৌকাটি বিশেষ অনুমতি নিয়েছিল কি না তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement