কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের মাঝে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। ছবি: মুখ্যমন্ত্রীর টুইটার থেকে।
শনিবার হিমাচল প্রদেশে ভোট। আর ভোটের ঠিক মুখে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ২৬ জন নেতা। দলবদল করে তাঁরা সকলে দাবি করলেন, দলে থেকে তাঁরা কাজ করতে পারছিলেন না! বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতার উপস্থিতিতে ওই দলবদলের কর্মসূচি হয়। সোমবার সেই খবর দেন জয়রাম।
‘দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না’— এই শব্দবন্ধের সঙ্গে প্রায় সকলেই অল্পবিস্তর পরিচিত। ২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে এই শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছিল এ রাজ্যে। ওই বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিলেন। প্রায় সকলেই দলবদল প্রসঙ্গে ওই শব্দবন্ধ ব্যবহার করছিলেন। দীনেশ ত্রিবেদীর মতো অনেকে আবার বলেছিলেন, ‘‘দলে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই দলবদল!’’ যদিও বাংলার ভোটে বিজেপি জিততে পারেনি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বার সরকার গড়েছেন সেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তবে বাংলায় উল্টো স্রোত চললেও দেশের অন্যত্র ভোটের মুখে শিবির বদলের প্রবণতার বদল হয়নি। তার পর থেকে দেশের অন্য যে যে রাজ্যে ভোট হয়েছে, সেখানেই দলবদলুদের মুখে শোনা গিয়েছে এই শব্দবন্ধ। যার ব্যতিক্রম নয় হিমাচল প্রদেশও। আগামী শনিবার সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার ৯৬ ঘণ্টা আগে ২৬ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মী ‘হাত’ ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্মশিবিরে। আর বললেন, কংগ্রেসে থেকে তাঁরা কাজ করতে পারছিলেন না। শনিবার হিমাচল প্রদেশে মোট ৬৮টি বিধানসভা আসনের জন্য ভোট। ফলাফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর। তার আগে রাজ্যে বিজেপির প্রধান বিরোধী কংগ্রেসে বড়সড় এই ফাটল ধরিয়ে জয়ের ব্যাপারে তারা আরও আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে বলেই গেরুয়া শিবিরের দাবি।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই দলবদলের কর্মসূচি হয়েছে। সেখানে হাজির ছিলেন শিমলার বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সুদও। দলবদলকারীদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ধর্মপাল ঠাকুর, প্রাক্তন সম্পাদক আকাশ সাইনি, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজন ঠাকুর, প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অমিত মেহতা, মেহর সিংহ কানওয়ার-সহ অন্তত ২৬ জন নেতা, কর্মী। ওই কংগ্রেসিদের দলে যোগ দেওয়ানোর পর রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জানান, কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রত্যেককে তিনি ‘হার্দিক অভিনন্দন’ জানাচ্ছেন। বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের লক্ষ্যে একযোগে সবাইকে কাজ করার আবেদনও জানান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী।