দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা বিজেপি-আরএসএসের। — ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে কটাক্ষের জেরে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। তার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর। যে সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসক-বিরোধী আড়াআড়ি দুই ভাগ। শাসক যেমন একযোগে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ন্যায্যতার দাবি করছে, উল্টো দিকে সম্মিলিত বিরোধীদের অভিযোগে উঠে আসছে প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা। কিন্তু এটাই প্রথম এবং একমাত্র নয়, রাজীব তনয়ের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে আরও একাধিক মামলা। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, মামলার সিংহ ভাগই দায়ের করেছে বিজেপি-আরএসএসের কোনও নেতা, কর্মী কিংবা সংগঠন। দেখে নিন সেই মামলার নাতিদীর্ঘ তালিকা।
২০২৩
সাম্প্রতিকতম মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে গুজরাতের সুরতের আদালত। তাতে ২ বছরের সাজাও ঘোষণা হয়েছে। তার জেরে সাংসদ পদ খুইয়েছেন রাহুল। মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য অবশ্য সুরতের কোর্ট রাহুলকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলাটি দায়ের করেছিলেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী।
২০১৯
মানহানির মামলায় ২০১৯-এ পটনার একটি আদালত থেকে জামিন পান রাহুল। এই মামলাটিও করেছেন এক বিজেপি নেতা। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জনতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মোদী পদবি হলেই সেই ব্যক্তি চোর হয়?
২০১৯
আমদাবাদের একটি আদালত রাহুলকে জামিন দেয়। ২০১৬-এর নভেম্বরে নোটবন্দির সময় আমদাবাদের জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক বেআইনি নোট বদলিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে সেই ব্যাঙ্ক।
২০১৯
আরএসএসের দায়ের করা মানহানির মামলায় মুম্বইয়ের একটি আদালত রাহুলের জামিন মঞ্জুর করে। রাহুল সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের খুনের ঘটনাকে বিজেপি-আরএসএস মতাদর্শের সঙ্গে জুড়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারই প্রেক্ষিতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে আরএসএস।
২০১৬
অসমের গুয়াহাটির একটি আদালত রাহুলকে মানহানি মামলায় জামিন দেয়। এই মামলাও দায়ের করে আরএসএস। ২০১৫-এর ডিসেম্বরে অসমের বরপেটা সাঁতরায় ঢুকতে আরএসএস তাঁকে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। অভিযোগ অস্বীকার করে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে আরএসএস।
২০১৬
আরএসএসের এক কর্মীর দায়ের করা মামলায় মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির একটি আদালত জামিন মঞ্জুর করে। রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল আরএসএস। আদালতে নিজের পক্ষ প্রমাণ করতে হবে রাহুলকে, এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৫
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন রাহুল। ২০১৫-এর ডিসেম্বরে রাহুল এবং তাঁর মা সনিয়া গান্ধীকে জামিন দেয় আদালত। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।