—প্রতীকী ছবি।
সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে মানুষের ভিড়। টাকা তুলতে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন সবাই। তবে লাইন লম্বা হলে কী হবে, দাঁড়িয়ে থাকা সকলেরই মুখ পুলকিত। কারণ, হঠাৎই কে যেন তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা করে দিয়েছে অনেকগুলি টাকা। কারও ত্রিশ হাজার, কারও চল্লিশ। কোনও অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কয়েক লক্ষ টাকা!
ভুলের কারণে ব্যাঙ্কের একটা-দু’টো অ্যাকাউন্টে টাকাপয়সা এদিক-ওদিক হওয়ার কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়। কিন্তু ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ায় ওড়িশা গ্রাম্য ব্যাঙ্কে গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, তা এককথায় নজিরবিহীন। কয়েকশো অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে যেন জমা পড়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই গতকাল সকালে ব্যাঙ্কের শাখা খুলতেই গ্রাহকদের ভিড়। যা এসেছে অতিরিক্ত, সবাই তুলে নিতে চাইছে সেই টাকা। আর এমন আজব কাণ্ডে অবাক ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা। তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না কোথা থেকে, কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল।
অজ্ঞাত সূত্র থেকে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের খাতায় এ ভাবে টাকা জমা হওয়ার খবর মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটা লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কে কী ঘটছে— জানতে ভিড় করেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁদের জানান, অন্তত তিনশোটি অ্যাকাউন্টের হিসেব খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। বোঝার চেষ্টা করেছেন কোথা থেকে টাকা এল? কে-ই বা পাঠালো? তবে তার পরেও বোঝা যায়নি ব্যাপারটা। জানা যায়নি গরমিলটা ঠিক কোথায়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা হয়েছে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে কোনও অজানা সূত্র থেকে। আর তারপরেই তাঁরা ছুটে এসেছেন সেই টাকা তুলতে।
হঠাৎ পাওয়া টাকা তুলে নিতে পেরে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন সকলে। কিন্তু ব্যাঙ্কের তদন্ত থেমে নেই। তারা বুঝতে চাইছে টাকা জমা হওয়ার কারণ। সেই সূত্রের সন্ধান মিললে
গ্রাহকদের টাকা ফেরানো হবে কি না, সেই সম্ভাবনা থাকছেই। হঠাৎ পাওয়া টাকা পকেট থেকে বের হয়ে যাবে কি না, সেই আশঙ্কা রয়েছে অনেক গ্রাহকের মনেই। তারা ভাবছেন, সরকারি ব্যাঙ্কে এত ভুল! একদিন না একদিন হিসেব তো মিলবেই! তখন কি টাকা আবার ফেরত নিয়ে নেবে?
জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ওড়িশা গ্রাম্য ব্যাঙ্কের। প্রায় ৫৫ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে তাদের। দেশে ব্যাঙ্কটির ৫৪৯টি শাখা রয়েছে। আজব কাণ্ড তার একটিতেই!