গত ২৪ ঘণ্টায় সাতটি পৃথক দুর্ঘটনায় অসমে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৫৩ জন।
পুলিশ জানায়, আজ ভোরে গোয়ালপাড়া জেলার হাতি শালমারা পথ দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি সেতু থেকে নদীতে পড়ে গেলে ভাস্কর কলিতা ও আলাল খন্দকার নামে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। লখিমপুরের গোগামুখ-ঢকুয়াখানা সড়কে তীব্র বেগে আসা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়লে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। জখম তিন জন। অন্য দিকে, চাংসারির কাছে দরাকঁহরা এলাকায় গত কাল সন্ধ্যায় মোটরবাইক আরোহী একটি পরিবার দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারলে নীলকান্ত দাস, তাঁর পত্নী কবিতা দাস ও ছেলে-মেয়ে গুরুতর জখম হয়। পরে হাসপাতালে কবিতা দেবী ও ন’বছরের কন্যা কাকলি দাসের মৃত্যু হয়। গত সন্ধ্যায় ধুবরি-গৌরীপুর সড়কে যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় ঘোড়ার গাড়ির চালক জাকির হুসেন ও ঘোড়াটি মারা যায়। আবদুল মালেক নামে অপর এক ব্যক্তি জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
এ দিকে আজ বকোর আগছিয়ায় একটি গাড়ি এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারলে মহম্মদ তারা মিঞা নামে ওই সাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। গোয়ালপাড়ার জেলার দুধনৈতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছেন বিশ্ব দে নামে এক ব্যক্তি। ডিফু স্টেশনে এ দিন সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় বিজয় জৈন মারা যান। বালিপাড়ার সতেরো মাইল এলাকায় গাড়ি ও মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন গুরুতর ভাবে জখম হন। মরিগাঁও জেলার বরুণগুড়ি এলাকার আমতলিঘাটে গত কাল বিকেলে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়লে ৪৩ জন শ্রমিক জখম হন। দু’জনের আঘাত গুরুতর।