নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে একটি ফ্লাইওভারের উপর প্রায় ২০ মিনিট আটকে থাকতে হয় মোদীকে। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এ বার তেমন সাত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল পঞ্জাবের আপ সরকার।
সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে এক জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) এবং দু’জন ডিএসপি-ও রয়েছেন। সেই সময়ে ফিরোজপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন গুরবিন্দর সিংহ। বর্তমানে তিনি ভাটিন্ডার পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য তাঁকে কিছু দিন আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ২২ নভেম্বরের নতুন একটি নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, আরও ছ’জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করতে চলেছে পঞ্জাব সরকার।
পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, এই ছ’জনের মধ্যে রয়েছেন ডিএসপি মর্যাদার পুলিশ আধিকারিক পরশন সিংহ, জগদীশ কুমার, দু’জন ইনস্পেক্টর জতিন্দর সিংহ, বলবিন্দর সিংহ, দু’জন সাব-ইনস্পেক্টর যশোবন্ত সিংহ এবং অ্যাসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর রমেশ কুমার। পঞ্জাব প্রশাসনিক কৃত্যক আইনের ধারা অনুযায়ী সাসপেন্ড পুলিশ আধিকারিকদের বিচার হবে। পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে চাকরি থেকে অপসারণ পর্যন্ত করা হতে পারে তাঁদের।
কৃষক বিক্ষোভের জেরে মোদীর কনভয় আটকে পড়ার পরেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে যায়। বিজেপির তরফে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তোলা হয় পঞ্জাবের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। চরণজিৎ চন্নীর কংগ্রেস সরকার অবশ্য দাবি করে যে, শেষ মুহূর্তে যাত্রাপথ বদল করায় নিরাপত্তায় এই গলদ। পরে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত একটি কমিটি তদন্ত করে জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের জন্য দায়ী রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ। তার পরই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরোধী দল আপের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকার এই সাসপেন্ড সংক্রান্ত নোটিস দিল।