—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারত-কানাডা সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সেই আবহে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-তে নতুন সাতটি পদ তৈরি করা হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পদগুলি তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে।
এনআইএ-তে নতুন একটি সহকারী ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) পদ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, ছ’টি ইনস্পেক্টর জেনারেল পদও নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদগুলিতে নিযুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।
ভারতে নিষিদ্ধ খলিস্তান গোষ্ঠীর নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে তার একাধিক ইঙ্গিত মিলেছে। নিজ্জরকে কানাডাতেই গত জুন মাসে গুলি করে খুন করা হয়। তদন্তের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ভারতীয় ‘এজেন্ট’দের হাত রয়েছে। ভারতীয় এক কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
এই অভিযোগের পরে চুপ করে থাকেনি নয়াদিল্লি। তারা কানাডার অভিযোগের কড়া সমালোচনা করেছে। সেই সঙ্গে ভারতের এক কানাডিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ট্রুডো সরকারকে জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারত-কানাডার এই সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের আবহে এনআইএ অতি তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতকে অভিযুক্ত করে ট্রুডোর বক্তব্যের এক দিন পরেই এনআইএ ৪৩ জন নিষিদ্ধ জঙ্গির ছবি-সহ নামের তালিকা প্রকাশ করে। বর্তমানে তাদের অনেকেরই ঠিকানা কানাডা। ভারতের অভিযোগ, এ দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে ট্রুডো সরকার।
এখানেই শেষ নয়, এনআইএ আমেরিকাবাসী খলিস্তানি জঙ্গি গুরপাতওয়ান্ত সিংহ পান্নুনের ভারতে অবস্থিত দু’টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান হিন্দুদের দেশ ছেড়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই পান্নুন।
গত মার্চে সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগে আরও ১৯ জন খলিস্তানি জঙ্গির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্যও চাওয়া হয়েছে।