কর্নাটকের কারখানায় শস্য চাপা পড়ে মৃত সাত। ছবি: এক্স।
উত্তরকাশীতে সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কর্নাটকের আলিয়াবাদে আর হল না। দৈত্যাকৃতি যন্ত্র ভেঙে প্রায় ১০০ টন ভুট্টার দানার নীচে চাপা পড়েছিলেন ১৩ জন শ্রমিক। সাত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ছ’জন গুরুতর আহত। সোমবার সন্ধ্যায় কর্নাটকের বিজয়াপুরার আলিয়াবাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় দুর্ঘটনা হয়েছিল। মঙ্গলবার আট জনের দেহ উদ্ধার হল। তাঁরা সকলেই বিহার থেকে এসেছিলেন।
বিজয়াপুরার পুলিশ সুপার ঋষিকেশ ভগবমান জানিয়েছেন, যন্ত্র ভেঙে তিন জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা চাপা পড়েননি। ভুট্টার দানা সরিয়ে এক জনকে জীবিত বার করা হয়েছে। বাকি সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম কিষাণ কুমার, রাজেশ কুমার মুখিয়া, শম্ভু মুখিয়া, লুকো যাদব, রমিভ্রচ মুখিয়া, রামবালক মুখিয়া, দুলারাচাঁদ মুখিয়া।
বিজয়পুরের কাছে আলিয়াবাদের এই গুদামটিতে খাদ্যশস্য প্যাকেট করার কাজ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে প্রায় ৫০ জন কর্মী কাজ করছিলেন। গুদামে সারিবদ্ধ ভাবে শস্যভর্তি বস্তাগুলি রাখা ছিল। আচমকা একটি যন্ত্র ভেঙে শস্য বোঝাই বস্তার সারিতে ধস নামে। স্তূপের নীচে ১৩ জন কর্মী চাপা পড়ে যান। তাঁরা সকলেই বিহারের বেগুসরাই, খাগারিয়া, সমস্তিপুরের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এক শ্রমিককে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। থানায় কারখানার মালিক এবং সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ধস নেমে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন ধরে আটকে ছিলেন তাঁরা। এর পর তাঁদের উদ্ধার করা হয়। যদিও কর্নাটক শেষরক্ষা হল না।