সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকায় মোদী সরকার লোকসভায় বাজেট পাশের সময়ে অর্থ বিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আইন পরিবর্তন করিয়ে নিয়েছিল। ইডি-র আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-কে আরও কঠোর করতেও বাজেটের অর্থ বিলের মাধ্যমে তা সংশোধন করানো হয়েছিল। কারণ অর্থ বিল লোকসভায় পাশের পরে রাজ্যসভায় আটকানো যায় না।
অর্থ বিলের মাধ্যমে আর্থিক বিষয়ের বাইরের আইন সংশোধনে বিরুদ্ধে গত ছয়-সাত বছর ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে। আজ কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিলেন, রাজনৈতিক প্রয়োজনে এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির
দরকার নেই। কপিল সিব্বলের পাল্টা, আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন করে ইডি-কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতা রোজ প্রয়োগ হচ্ছে। আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলা দ্রুত শুনানির বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
যে সব ক্ষেত্রে রাজকোষ থেকে টাকা খরচ হয়, তা-ই অর্থ বিলের আওতায় পড়ে। কিন্তু তার বাইরের বিষয়কেও অর্থ বিল হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। ২০১৯-এ ৫ বিচারপতির বেঞ্চ বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠায়। ৫ বিচারপতির বেঞ্চ অর্থ বিলের মাধ্যমে আধার আইন সংশোধনে সম্মতি দেয়।