Serum Institute of India

প্রথম দেশীয় ভ্যাকসিন তৈরি পুণেতে

নয়া প্রতিষেধকের পুরো নাম— ‘নিউমোকক্কাল পলিস্যাকারাইড কনজুগেট ভ্যাকসিন’ (পিপিএসভি২৩)।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ওষুধ তৈরিতে গোটা বিশ্বকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা ছিলই। এ বার দেশজ ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক তৈরি করল ভারত। ‘প্রথম’ এ কাজ করে দেখাল পুণের একটি বেসরকারি সংস্থা, ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’। নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তারা। প্রতিষেধকটি তৈরি এবং বাজারে ছাড়ার জন্য ইতিমধ্যেই ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই)-র অনুমতিও পেয়েছে সংস্থাটি।

Advertisement

নয়া প্রতিষেধকের পুরো নাম— ‘নিউমোকক্কাল পলিস্যাকারাইড কনজুগেট ভ্যাকসিন’ (পিপিএসভি২৩)। ২৩ রকমের নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়াকে আটকাতে পারে এটি। লালারসের মাধ্যমে এক জনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়ায় ব্যাকটেরিয়াগুলি। নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া। এ ছাড়াও মেনিনজাইটিস, রক্তের সংক্রমণের মতো অসুখ রয়েছে।

ভ্যাকিসনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। তিন ধাপে বিভিন্ন বয়সি শিশুদের শরীরে পরীক্ষা চলে। প্রতি ক্ষেত্রেই সাফল্য মেলে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হয়। সরকারি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অক্টোবরে গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। সে বছরই ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ‘মার্কশিটে’ ভাল নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় পিপিএসভি২৩। এ বার ডিসিজিআইয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষাতেও সফল তারা।

Advertisement

সেরাম ইনস্টিটিউট-এর এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজীব ধেরে জানান, দেশে এ বার অনেক কম দামে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক মিলবে। আজই ভারতীয় ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে মাইক্রোসফ্‌টের কর্ণধার বিল গেটস বলেন, ‘‘করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতাও রাখে ভারত।’’ সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement