প্রতীকী ছবি।
জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের আবেদনের বিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিছিয়ে গেল। বুধবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটি দুই সংস্থার কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথধিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে।
কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে। নথিপত্র পরীক্ষার পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিসিজিআই। তবে এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির বুধবারের বৈঠকে সেরাম এবং ভারত বায়োটেকের পাশাপাশি আমেরিকার সংস্থা ফাইজারের তৈরি করোনা টিকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের আবেদন নিয়েও আলোচনা হয়। সিডিএসসিও-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই মূল্যায়ন পর্ব শেষ হতে অন্তত দু’সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করছে সুইডেনের সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতে সেই টিকা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসে সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ৪ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছেন। ডিসেম্বর থেকে টিকা বণ্টনেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু সেই ‘পূর্বাভাস’ মেলেনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতায় নড্ডাকে কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা
গত ৪ ডিসেম্বর সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোভিডের টিকা তৈরি হয়ে যাবে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ডিজিসিআই-এর কাছে আবেদন করেছিল ফাইজার। পরবর্তীকালে সেরান এবং ভারত বায়োটেকও একই আবেদন জানায়। ইতিমধ্যেই আমেরিকা এবং ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর থেকে টিকা উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়েছে ফাইজার।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে পঞ্চায়েত ভোটে জিতল বিজেপি, কংগ্রেসে ফের অশোক-সচিন দ্বন্দ্ব