—ফাইল চিত্র।
সুস্থতার হার স্বস্তি দিলেও, এখনই বিপন্মুক্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। শহরাঞ্চলে বস্তি এলাকায় যে সমস্ত মানুষ থাকেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরাই। দেশ জুড়ে দ্বিতীয় দফার সেরো-সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এল।
রক্তের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ২১টি রাজ্যের ৭০ জেলা মিলিয়ে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের ৭০০টি ওয়ার্ডে এই সেরো-সমীক্ষা চালিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ১৭ অগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অগস্টের শেষ দিকে ১০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতি ১৫ জনে এক জন করে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন।
তবে মে মাসের তুলনায় অগস্টে সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ওই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের দাবি, দেশ জুড়ে রক্তের নমুনা পরীক্ষা এবং রোগ চিহ্নিতকরণ বাড়ানোতেই এটা সম্ভব হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির নিরাপদ কায়দা, ফেস মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে আইসিএমআর।
আরও পড়ুন: অবশেষে কাল বাবরি ধ্বংস মামলার রায়, চার নজরে ২৮ বছর
আরও পড়ুন: শেষ গম্বুজটাও ভেঙে পড়তে দেখলাম ৪টে ৪৯ মিনিটে
প্রবীণ নাগরিক, কোমর্ডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তি, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই তাঁদের নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। একই সঙ্গে উৎসবের মরসুমে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।