কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। বিদেশে পড়তে বা চাকরি করতে যাওয়া ওই সব নেতাদের ছেলেমেয়ে এবং আত্মীয়দের উপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের এমন ২০০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে যাঁদের কোনও না কোনও সদস্য বিভিন্ন দেশে চাকরি অথবা পড়াশোনা করছেন।
সরকারি তথ্য বলছে, হুরিয়ত নেতা বিলাল লোনের সন্তানরা পড়াশোনা করছেন লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়ায়। হুরিয়তের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির দুই নাতি কাজ করছেন পাকিস্তান ও তুরস্কে। তেহরিক-ই-হুরিয়ত-এর চেয়ারম্যান আশরাফ শেহরাইয়ের দুই ছেলে পড়াশোনা করেছেন বিদেশে। বর্তমানে চাকরি করছেন সৌদি আরবে। দুখতারান-ই-মিল্লাত-এর প্রধান আসিয়া আন্দ্রাবির দুই ছেলে আবার পড়াশোনা করছেন মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ডাকা বন্ধ ও বিক্ষোভে গত তিন বছর ধরে কাশ্মীরে স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অশান্তির জেরে উপত্যকায় হামেশাই স্কুল,কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাশ্মীরের ছেলেমেয়েরা যেখানে এই হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াতে পাঠাচ্ছেন। এত টাকা কোথায় পাচ্ছেন ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। টাকার উত্স কী, এ বার সে বিষয়গুলি নিয়েই তদন্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিশ্বাসঘাতকের মুখোশটাও সকলের সামনে খুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিধায়ক কেনাবেচায় যুক্ত বিজেপি, কর্নাটকে অচলাবস্থা নিয়ে অভিযোগ কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: ফের বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা পুলিশকে, পর পর ঘটনায় উদ্বিগ্ন লালবাজার
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখছেন না কাশ্মীরের বেশ কিছু নেতা। প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা রাজনীতিক শাহ ফয়জল যেমন এ ব্যাপারে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেকেরই অধিকার আছে তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়তে পাঠানোর।” এরই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “যদি অন্য কোনও রাজনীতিক তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পাঠাতে পারেন, তা হলে হুরিয়ত নেতারা কেন পাঠাবেন না!”