Hijab Row

Hijab Controversy: হিজাব মামলা: পৃথক বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

গত জানুয়ারি থেকেই হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। উদুপি গভর্মেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছ’জন পড়ুয়াকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২২ ০৭:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

কর্নাটক হাই কোর্টের হিজাব রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলি নিয়ে শুনানির জন্য পৃথক বেঞ্চ গড়বে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা জানিয়েছেন, এই মামলার শুনানির জন্য তিনি আলাদা বেঞ্চ গড়বেন।

Advertisement

ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল বেশ কয়েকটি সংগঠন। এ ব্যাপারে শুনানির জন্য বেঞ্চ গড়বে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা জানান, হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনগুলি পেশ হয়েছিল মার্চে। কিন্তু আজও শুনানির জন্য সেগুলি তালিকাভুক্ত হয়নি। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলির বেঞ্চ অভিযোগ শোনেন।

এর পরে প্রধান বিচারপতি রমণা বলেন,‘‘আমি পৃথক বেঞ্চ গড়ে দেব। সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের একজন অসুস্থ। একটু অপেক্ষা করুন। বিচারপতিরা সুস্থ থাকলে বিষয়টা উঠে যেত।’’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গত মার্চে রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। তাতে বলা হয়েছিল, ইসলাম ধর্মাচরণের সঙ্গে হিজাব পরা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত নয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও নির্দিষ্ট পোশাক বিধি বেধে দেওয়া হলে তা ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়া নয়। বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম কাজি বলেছিলেন, ‘‘স্কুলের পোশাক একটি বিধি একটি সংবিধানসম্মত এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়। এটা নিয়ে পড়ুয়াদের কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।’’ গত ১৩ জুলাই শীর্ষ আদালত হিজাব পরিধান সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া পিটিশন শুনতে সম্মত হয়।

Advertisement

গত জানুয়ারি থেকেই হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। উদুপি গভর্মেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছ’জন পড়ুয়াকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণপন্থী সংগঠনের তরফে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ওই পড়ুয়ারা। যার ফলে গত ফেব্রুয়ারিতে হিজাব-বিতর্ক চরমে উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, আগামী বছর কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। হিজাবকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement