-ফাইল ছবি।
প্রাথমিক ভাবে কোভিডে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ না করে নানা ধরনের অ্যান্টিভাইরাল, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা না বলে অতিরিক্ত পরিমাণে নেবেন না ‘রেমডেসিভির’ ইঞ্জেকশনও। এতে কোভিড আরও ভরাবহ হয়ে উঠবে। এমনকি রোগীকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকেও।
এমন পরামর্শ দিয়েছেন চণ্ডীগড়ের ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর)’-এর চিকিৎসকেরা।
প্রতিষ্ঠানের অ্যানেস্থেসিয়া এবং ইনটেনসিভ কেয়ার বিভাগের প্রধান জিডি পুরি বলেছেন, ‘‘কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই মানুষ ভয় পেয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা না বলেই বাড়িতে থাকা নানা ধরনের অ্যান্টিভাইরাল, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছেন। এমনকি, অতিরিক্ত পরিমাণে নিচ্ছেন রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনও। এর ফলে, কোভিড আরও ভয়াবহ উঠতে পারে।’’
পুরি জানিয়েছেন, নানা ধরনের স্টেরয়েড ও রেমডেসিভির, টোসিলিজুমাব, ইটোলিজুমাব চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা না বলে যথেচ্ছ খাওয়া হলে তা খুব বিপজ্জনক, ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।’’
চিকিৎসকদের বক্তব্য, কোভিড রোগীদের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর রেমডেসিভিরের মতো ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বাকিদের নয়। ভাইরাস ফুসফুসে না পৌঁছলে সিটি স্ক্যান করিয়েও লাভ নেই। স্টেরয়েড রোগীদের দেহকোষে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিভাজনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যাঁদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা বেশি পরিমাণে রেমডেসিভির খেলে হিতে বিপরীত হবে। কোভিড তো আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবেই, কিডনি ও লিভারের সমস্যাও হয়ে উঠবে জটিলতর।