ফাইল চিত্র
নির্ধারিত সময়ের আগেই তৈরি হয়ে যাবে অরুণাচল প্রদেশের সে লা সুড়ঙ্গ। ফলে এত দিন যে পথে যাতায়াতে অনেকটা সময় লাগত, তা এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটাই। এর সুবাদে আবহাওয়াগত কারণে পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে দ্রুত ও সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন সেনাকর্মীরা।
সে লা সুড়ঙ্গ তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ এটি। সুড়ঙ্গটি তৈরি হয়ে গেলে যাতায়াতের সময় কমবে প্রায় এক ঘণ্টা। যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেনা পৌঁছতে পারবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি, জানিয়েছেন এই প্রকল্পের প্রধান পরীক্ষিৎ মেহরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় যাতায়াত নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতীয় সেনাকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বিশেষত শীতের সময় সমস্যায় পড়েন সেনাকর্মীরা। এর ফলে অস্ত্র ও রসদের বিপুল ক্ষতি হয়। সেই কারণেই এই সে লা সুড়ঙ্গ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পে মোট তিনটি পৃথক সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। একটি প্রধান সুড়ঙ্গ, নিষ্ক্রমণের সুড়ঙ্গ ও একটি ছোট তৃতীয় সুড়ঙ্গ। মূল রাস্তাটি তৃতীয় ছোট সুড়ঙ্গ ও মূল সুড়ঙ্গটিকে জুড়বে। প্রধান ও নিষ্ক্রমণের সুড়ঙ্গ দু’টি ১ হাজার ৫৫৫ মিটার লম্বা। আর ছোট সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৯৮০ মিটার।
এই সে লা সুড়ঙ্গ বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াংয়ের রাস্তার অংশ। গত সপ্তাহেই প্রধান সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেই কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই সুড়ঙ্গ ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, এটি অরুণাচলের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সাহায্য করবে।’’