Sheikh Hasina India Visit

জলবণ্টনের বিষয়টি আরও উদারতার সঙ্গে দেখা হোক, সফরের আগে ভারতকে প্রত্যাশার বার্তা শেখ হাসিনার

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “(আমি) মনে করি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। এটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৫৫
Share:

৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে আসার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। ফাইল চিত্র।

জলবণ্টন নিয়ে ভারতের আরও একটু উদারতা দেখানো উচিত। তাতে দু’দেশই উপকৃত হবে। ভারত সফরে আসার আগে বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে আসার কথা তাঁর। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসিনার এই সফরে আমন্ত্রিত হয়ে দিল্লি যাচ্ছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সফরের আগে নদীজল বণ্টন নিয়ে হাসিনার মন্তব্য ভারতের সামনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারকে তুলে ধরারই প্রচেষ্টা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “(আমি) মনে করি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। এটি একটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।” গত ২৫ অগস্ট নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সাতটি নদীকে জলবণ্টনের বিষয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুহুরি, ফেনি, কুশিয়ারার মতো বড় নদীর জলবণ্টন নিয়েও দু’দেশের আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি এমন নদী রয়েছে, যেগুলির উপর দুই দেশই নির্ভরশীল। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীটির নাম তিস্তা। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলচুক্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা হলেও জট কাটেনি। তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। হাসিনার এই বারের সফরেও, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছাড়া দু’দেশের জলবণ্টনের বিষয়টি ভাল রকম গুরুত্ব পেতে পাচ্ছে। তবে তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কোনও সদর্থক ইঙ্গিত ভারতের দিক থেকে না পেলে, আলাদা ভাবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে বেশি কথা হাসিনা চাইছেন না বলেই দিল্লি সূত্রে খবর।

Advertisement

শেখ হাসিনার এই সফরকে সফল করতে চেষ্টার কোনও রকম কসুর করছে না বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে শেষ বার ভারতে এসেছিলেন হাসিনা। গত বছর মার্চে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী। গত কয়েক বছরে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে বলে মনে করে দুই দেশই। সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাইছে বাংলাদেশ।

৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার ভারত সফরে আসবেন হাসিনা। ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কথা। সফরের প্রথম দিন দিল্লির হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সফরের শেষ দিন রাজস্থানের অজমেঢ়ে যাবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ ফিরে যেতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement