সীমা হায়দর এবং তাঁর স্বামী সচিন মীণা। ছবি: সংগৃহীত।
আইনি প্রক্রিয়ার কারণে ক্রমেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরার বাসিন্দা সচিন মীণা এবং সীমা হায়দর। ঘরবন্দি তাঁদের পুরো পরিবারও। এক দিকে পুলিশের নির্দেশ, অন্য দিকে সংবাদমাধ্যমগুলির বাড়বাড়ন্তে ঘর থেকে বাইরে বেরনোই মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে কয়েক দিন আগে সংবাদমাধ্যমেই দাবি করেছিলেন সচিনের বাবা নেত্রপাল। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, কাজে বেরোতে না পারায় ঘরে খাবারও শেষ হয়ে গিয়েছে।
সচিন এবং সীমাদের পরিবারের এই পরিস্থিতির কথা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের নবনির্মাণ সেনার অধ্যক্ষ অমিত জানী। মুম্বইয়ে তাঁর নিজস্ব সিনেমা প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। সচিন এবং সীমার আর্থিক পরিস্থিতি দেখে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। বলিউডের ছবিতে সীমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন অমিত। তবে তিনি জানিয়েছেন, সীমার অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার বিষয়টি তিনি কোনও ভাবেই সমর্থন করছেন না। কিন্তু তাঁদের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি দেখে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। তাঁর আসন্ন একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন সীমাকে। এমনই দাবি অমিতের।
শুধু বলিউডে অভিনয়ের প্রস্তাবই নয়, আরও একটি বিষয়ে সীমাকে নিয়ে চর্চা বেড়েছে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবুপুরার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, সীমা ‘সন্তানসম্ভবা’। তিনি নাকি পাঁচ মাসের ‘সন্তানসম্ভবা’। আর এই বিষয়টিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রবুপুরায়। সীমার আগের পক্ষের চার সন্তান। তিন কন্যা এক পুত্র। সীমাকে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। সীমা কি পাকিস্তানের চর, না কি নিছক প্রেমের টানেই ভারতে আসা, তা এখন তদন্তাধীন।