ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সঙ্গে নিজস্বী নিতে সোজা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল জনা পাঁচেকের একটি দল। উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে পরিচিত ভেবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেন। পরে ভুল ভাঙতেই দ্রুত ঘিরে ফেলেন দলটিকে। কিন্তু তত ক্ষণে প্রিয়ঙ্কা যেখানে বসেছিলেন, সেখানে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল দলটি।
গত মাসেই হামলার আশঙ্কা কমে যাওয়ার যুক্তিতে গাঁধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেয় কেন্দ্র। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিরাপত্তায় ফাঁক ধরা পড়ায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি আজ বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনার কথা জানি না।’’
গত ২৫ নভেম্বর দুপুরে দিল্লির লোদি এস্টেটের বাড়িতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সে সময়ে একজন কিশোরী-সহ পাঁচ জনের দল মূল গেট দিয়ে বাংলোর ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছেন বলে ধরে নেন নিরাপত্তারক্ষীরা। দলটি বাগানের ভিতর গিয়ে হেঁটে মূল ভবনের সামনে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে কী ভাবে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নিজস্বী তোলা যায়, তা তারা জানতে চাইলে ভুল ভাঙে নিরাপত্তারক্ষীদের। দলটি জানায়, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছবি তুলতে তারা উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি এসেছে।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানার পর মধ্যপ্রদেশ, চার বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন
খবর যায় প্রিয়ঙ্কার কাছে। এমন কোনও দলের সঙ্গে দেখা করার সূচি নেই বলে জানানো হয় কংগ্রেস নেত্রীর দফতর থেকে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তিরা নিছকই ছবি তুলতে এসেছেন। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, পরে ওই দলটির সঙ্গে গল্প করেন, ছবি তোলেন প্রিয়ঙ্কা। দলটি ফিরে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের না করে শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসপিজি তুলে নেওয়ায় গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তা যে শিথিল হয়ে পড়বে— এমন আশঙ্কা জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদেরা। এই ঘটনা তার প্রমাণ বলে কংগ্রেস আজ দাবি করেছে।