পুরনো প্রথা ফিরছে কামাখ্যা পরিচালনায়

কামাখ্যা মন্দিরের পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। দেবোত্তর বোর্ড ভেঙে দিয়ে ১৭ বছর পরে ফের কামাখ্যা মন্দিরের পরিচালন ভার বড়দেউরি সমাজের হাতে ফিরতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

কামাখ্যা মন্দিরের পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। দেবোত্তর বোর্ড ভেঙে দিয়ে ১৭ বছর পরে ফের কামাখ্যা মন্দিরের পরিচালন ভার বড়দেউরি সমাজের হাতে ফিরতে চলেছে।

Advertisement

১৯৯৬ সালে বরদেউরি সমাজকে সরিয়ে কামাখ্যার প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল দেবোত্তর বোর্ড। এই নিয়ে ১৯৯৮ সাল থেকে মামলার শুরু। পরে ২০১১ সালে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিতাভ রায় ও হরেশ্বর বরা দেবোত্তর বোর্ডের বিরুদ্ধে রায় দেন। হাইকোর্ট জেলা প্রশাসনকে ‘দলৈ’ নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে কামাখ্যার পূজা ও ধর্মীয় আচারের সমগ্র বিষয় বরদলৈ ও বড়দেউরিরাই দেখভাল করবেন। এরপর দেবোত্তর বোর্ড সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট তখনকার মতো হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে বলে, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত বোর্ডই মন্দিরের প্রশাসনিক বিষয়টি দেখবে। বড়দেউরি সমাজের তত্ত্বাবধানে দলৈরা পুজার বিষয়টি দেখভাল করবেন। জেলা প্রশাসনকে কামাখ্যায় থাকা সব মূল্যবান ও ঐতিহাসিক সামগ্রীর তালিকা তৈরি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

কামাখ্যার প্রশাসনিক ক্ষমতাও বোর্ডের হাত থেকে কেড়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট। কামাখ্যা বড়দেউরি সমাজের আইনজীবী মনীশ গোস্বামী জানান, বিচারপতি শিবকীর্তি সিংহ ও ফকির মহম্মদ ইব্রাহিম খলিফুল্লাহকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছেন, কামাখ্যা মন্দির পরিচালনের কোনও আইনি ও ঐতিহাসিক অধিকার বোর্ডের নেই। তাই প্রাচীনকাল থেকে যে ভাবে বড়দেউরিরা মন্দির পরিচালনা করেছেন, সেই প্রথাই ফের বহাল হবে। সেই সঙ্গে দলৈ বা মূল পুজারি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মহিলারা লড়তে পারবেন না বলেও সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়। বড়দেউরি সমাজের ৪৭৩ জন সদস্য রয়েছেন। কেবল তাঁরাই মন্দিরের ভিতরে পুজোর কাজে অংশ নিতে পারেন। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দেবোত্তর বোর্ডের বিরুদ্ধে বহু কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও জমা পড়েছে। বড়দেউরি সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবশেষে সত্যের জয় হল। বোর্ড অন্যায় ভাবে তাঁদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তাদের আমলে মন্দির পরিচালনে বহু দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটেছে। কামাখ্যা দেবোত্তর বোর্ডের সচিব নবকান্ত শর্মা বলেন, সুপ্রিম ‘‘কোর্টের রায়ের কোনও প্রতিলিপি পাইনি। রায় দেখার পরেই পরবর্তী কর্মসূচি ভাবা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement