গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও গাইডলাইন তৈরি করেছে কি না, তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে তা জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শুনানির সময় অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা।
তিনি জানান, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছেড়ে আবার সেই গোড়ার দিককার মোবাইল ফোনে তিনি ফিরে যেতে চান। ‘লাগামছাড়া’ সোশ্যাল মিডিয়ার ‘তাড়না’য়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মুখে সে কথা শুনে কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, তাঁর পরিচিতদের অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড ছেড়ে ফিরে গিয়েছেন সেই গোড়ার দিকের মোবাইল, ফিচার ফোনে!
কেন? তাঁর নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন শুনানির সময়, বিচারপতি গুপ্তা বলেন, ‘‘যে সব প্রযুক্তিতে এই সব মোবাইল ফোন (অ্যান্ড্রয়েড) চলে, সেগুলি খুবই বিপজ্জনক। আমি স্মার্টফোন ছেড়ে আবার ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করব বলে ভাবছি।’’
বিচারপতি গুপ্তার ওই মন্তব্য শুনে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল মেহতা বলেন, ‘‘সেটাই বিচক্ষণের কাজ হবে। আমার পরিচিতদের কেউ কেউ ইতিমধ্যেই সেটা করেছেন।’’
সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারির কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র, সেই নীতি তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে আদালতে জানাতে বলেন বিচারপতি গুপ্তা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। দেশের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে হয়ে উঠতে পারে উদ্বেগজনক। তা রুখতে সরকারের একটি সুর্নির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করা উচিত।’’
আরও পড়ুন- কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন- ফোনে ভাইরাস? দেখে নিন কী ভাবে ভাইরাস মুক্ত করবেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন
বিচারপতি গুপ্তা বলেন, ‘‘এর পর তো ইন্টারনেটে একে-৪৭ রাইফেলও কিনতে পারবেন মানুষ। এই সব রুখতে একটা কড়া গাইডলাইনের দরকার। এই উদ্বেগটা তো শুধুই নেট নিয়ে নয়। উদ্বেগ দেশের নিরাপত্তা নিয়েও।’’
যাঁরা ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান, তাঁদের মেসেজের উপর নিয়মিত নজরদারিরও খুব প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ। ‘‘তার ভিত্তিতে মানহানির মামলা হয় কি না, তা-ও দেখতে হবে’’, বলেন বিচারপতি গুপ্তা।