—ফাইল চিত্র।
ভোটের ফল প্রকাশের পরে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনায় সিবিআই বা এসআইটি তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। আজ সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল।
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিজিৎ সরকার নামে বিজেপির এক যুব কর্মীকে পিটিয়ে মারায় অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছিল, বিজেপির গোষ্ঠী-বিবাদেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ বার অভিজিতের ভাই বিশ্বজিৎ সরকার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করেছেন। তাঁর হয়ে আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী আজ আদালতে যুক্তি দেন, রাজ্য সরকার এ বিষয়ে শুধু নিষ্ক্রিয় নয়, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে দেখেও নীরব। পুলিশ ঘটনার সময়ে চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে যায়নি। শাসক দলের এই ‘প্রতিহিংসামূলক’ হামলা দেখেও প্রশাসন চোখ বুজে রেখেছে। জেঠমলানী বলেন, ঘটনায় সাক্ষী রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাঁরা চান, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার রায় না-দেওয়া পর্যন্ত অভিজিতের শেষকৃত্য যেন না-করা হয় এবং তাঁর ময়না-তদন্তের যেন ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়।
ভোটের ফল প্রকাশের রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে তৃণমূলের হামলায় হারান অধিকারী নামে এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর পরিবারের তরফেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, অভিজিৎ, হারানদের মৃত্যুর তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। অথবা আদালতই একটি এসআইটি গঠন করে দিক। আজ বিচারপতি বিনীত সরন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের অবসরকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যের বক্তব্য জানতে নোটিস জারি করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
অভিজিতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন তাঁদের বাড়ির কাছেই বিজেপি পার্টি অফিসে ২০-২২ জন যুবক ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। অভিজিৎ গোটা ঘটনা ‘ফেসবুক লাইভ’ করতে শুরু করেন। সে সময়ে তাঁকে বাড়ির বাইরে টেনে বার করে পিটিয়ে মারা হয়। হারানের পরিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলায় জানিয়েছে, হামলাকারীরা তাঁর গলায় সিসিটিভি ক্যামেরার তার পেঁচিয়ে, লাঠি, ইট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। মায়ের সামনেই তাঁর মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। তা দেখে মা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।