এ বার রাজ্যে আতসবাজি বিক্রি, ব্যবহার নিষিদ্ধ কালী পুজোয়। -ফাইল ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে কালী পুজোয় সব রকমের আতসবাজি বিক্রি ও তার ব্যবহারের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে অতিমারি পরিস্থিতিতে উৎসবের আনন্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের সুরক্ষা।
আগামী শনিবার কালী পুজো। তার পরেই ছট পুজো। অতিমারি পরিস্থিতিতে এই দুই পুজোয় সব রকমের আতসবাজির জন্য যাতে নতুন করে বায়ুদূষণ না হয় সে জন্য গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে আতসবাজি বিক্রি ও তার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে জনৈক গৌতম রায় এবং বড়বাজার ফায়ারওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা চেয়েছিলেন শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিক।
কিন্তু এ দিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে গড়া শীর্ষ আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ হতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: মাত্র ১২ ভোটে হিলসায় জয়ী আরজেডি প্রার্থী! কী বললেন ৫ ভোটে হারা সুজন চক্রবর্তী
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর
বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকেই বাঁচার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আমাদের সকলের বাড়িতেই প্রবীণরা রয়েছেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে উৎসবের আনন্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের সুরক্ষা। তার জন্য তৃণমূল স্তরে কী কী করণীয় সেগুলি হাইকোর্টই ভাল জানে।’’
পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এও জানিয়েছে, নাগরিকদের, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ। কারণ প্রবীণ নাগরিকদের কোমর্বিডিটির কারণেও করোনায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে, তাঁদের মৃত্যুও হচ্ছে।