ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বোধ বাড়াতে রাস্তাঘাটে এবং সরকারি দফতরে স্থানীয় ভাষায় সংবিধানের প্রস্তাবনা প্রদর্শন করার যে আবেদন জমা পড়েছিল, তা শুনলই না সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কী করা হবে, তারাই সিদ্ধান্ত নিক।
সাম্প্রতিক কালে দেশ জুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে নানা প্রান্তেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব তৈরি করতে কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অ়ঞ্চলের সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক, তারা যাতে উদ্যোগ নিয়ে রাস্তাঘাটে এবং সরকারি দফতরে স্থানীয় ভাষায় সংবিধানের প্রস্তাবনা প্রদর্শন করে। সম্প্রতি এমনই একটি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। মহারাষ্ট্রের ওই আবেদনকারীর দাবি, সাধারণ মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। যে সব প্রতিশ্রুতির উপর দাঁড়িয়ে দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছিল, তা বর্তমান যুবসমাজ ভুলে গিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন আবেদনকারী। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি এসকে কল এবং এএস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানান, এটা আদালতের কাজ নয়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। আদালতও পর্যবেক্ষণ, শুধু প্রস্তাবনা কেন, সংবিধানই প্রদর্শন করা উচিত দেশ জুড়ে। এটা সরকারেরই কাজ। বিচারপতিরা আবেদনকারীর আইনজীবীকে জানিয়ে দেন, এই আবেদন প্রত্যাহার করা হোক, নয়তো আদালতই তা খারিজ করে দেবে। এর পরেই আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, তিনি আবেদ প্রত্যাহার করে নেবেন।