নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সর্বাধিক জনপ্রিয়, পছন্দসই, প্রাণবন্ত এবং দূরদর্শী এক জন নেতা’। প্রকাশ্যে, মঞ্চে মোদীকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ। দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতির এমন মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জলঘোলা শুরু হয়েছে। শাহের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন বিচারপতিদের একাংশ। তাঁদের অনেকে ‘সংযম’ পালনের বার্তা দিচ্ছেন।
শনিবার ছিল গুজরাত হাইকোর্টের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত মোদী। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিগলিত সুরে শাহ বলে বসেন, ‘‘গুজরাত হাইকোর্টের ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আরও ভাল লাগছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরভাই মোদীর মতো সর্বাধিক জনপ্রিয়, পছন্দসই, প্রাণবন্ত এবং দূরদর্শী নেতা ওই ডাকটিকিট প্রকাশ করায়।’’ এখানেই থামেননি শাহ। মোদীকে ‘সবচেয়ে পছন্দের প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
শাহের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আদালতের এক জন বিচারপতি এ ভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেন কি না তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত প্রাক্তনরা। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি আরএম লোঢা বলেন, ‘‘এই ধরনের বিষয় সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। প্রবাদ বলছে, সংযমই বীরত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’’ ‘আচরণ বিধি’ মেনে চলার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।
শীর্ষ আদালতের আর এক প্রাক্তন বিচারপতি গোপালা গৌড়া শাহের মন্তব্যে ‘বিস্মিত’। তাঁর মতে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এক জন বিচারপতি যিনি সাংবিধানিক ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এমন সব বিশেষণে ভূষিত করছেন যা অযৌক্তিক এবং অযাচিত।’’
অবশ্য এই প্রথম নয়। গত বছর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় এবং বিশেষণে ভরিয়ে দিয়েছিলেন অরুণ মিশ্র। তা নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বিচারপতি মিশ্র বলেছিলেন, ‘‘যিনি আন্তর্জাতিক মাপের চিন্তাভাবনা করেন, দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করেন, সেই বহুমুখী প্রতিভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দীপক বক্তৃতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’’