Supreme Court

জেলাশাসক খুনে দোষী আনন্দ মোহনের মুক্তি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

বিহারে জেলাশাসক খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া আবেদন আগেই গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ১৭:৪৯
Share:

আনন্দ মোহনের মুক্তি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

বিহারের প্রাক্তন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনে দোষী সাব্যস্ত রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিংহকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে এ বার নীতীশ কুমার সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই বিষয়ে বিহার সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।

Advertisement

বিহারে জেলাশাসক খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া আবেদন আগেই গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৯৯৪ সালে আমলা জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আনন্দ। বিহারের জেলবিধিতে আগে কর্তব্যরত সরকারি কর্মী খুনে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি নিষিদ্ধ ছিল। সেই নীতিই বদলেছে নীতীশের নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী খুনের অপরাধী যদি ১৪ বছর জেল খেটে ফেলেন, তা হলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।

নয়া জেলবিধির ফলেই মুক্তি পান আনন্দমোহন-সহ ২০ জন। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ সব করছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মধ্য বিহারের প্রভাবশালী রাজপুত নেতা আন্দমোহনের সাহায্য নিতেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দমোহনের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নিহত আইএএস অফিসার কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী উমা। তাঁর দাবি, ১৪ বছর জেল খাটলেও সাজা পূরণ হয়নি প্রাক্তন সাংসদের। সুপ্রিম কোর্টের একটি পুরনো রায়ের উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসাবে। তাই দণ্ডিতকে আজীবন কারাবাস করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই সাজা মকুব করা চলবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement