Rajiv Gandhi

বাড়ল প্যারোলের মেয়াদ, রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীকে মুক্তি দেওয়ার ভাবনা

এলটিটিই জঙ্গিদের ঘটানো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান রাজীব গাঁধী। তাতে পেরারিবালন জঙ্গিদের ব্যাটারি জুগিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪৯
Share:

এজি পেরারিবালন। —ফাইল চিত্র।

বাবার স্বাস্থ্য এবং ভাইঝির বিয়ের দোহাই দিয়ে প্যারোলে বেরিয়ে এসেছিলেন। তার পর দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই প্যারোলের মেয়াদ বেড়ে গেল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত এজি পেরারিবালনের। নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার তা মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে সাজা মাফ করে তাঁকে রেহাই দেওয়ার ভাবনাচিন্তাও চলছে।

Advertisement

অসুস্থ বাবার পাশে থাকতে এবং ভাইঝির বিয়ের অনুষ্ঠানে শামিল হতে চেয়ে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে প্যারোলের আবেদন জানান পেরারিবালন। গত ৯ নভেম্বর তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে জেলের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সোমবার তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরাসরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পেরারিবালন। জানান, ২০১৫ সালে সাজা মাফ করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার অন্তত একটা বিহিত হোক।

একই সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কথা শীর্ষ আদালতে জানান পেরারিবালন। চিকিৎসার জন্য আরও কিছু দিন জেলের বাইরে থাকার অনুমতি চান, এ দিন বিচারপতি এলএন রাওয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন যা মঞ্জুর করে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেরারিবালনের প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জেলের বাইরে থাকাকালীন তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে বলেও তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না পেরারিবালন। এর আগে, ২০১৭ সালেও বাবার অসুস্থতার দোহাই দিয়ে এক মাসের জন্য প্যারোলে ছাড়া পান তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘করাচি একদিন ভারতের অংশ হবে’, দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী​

১৯৯১ সালে শ্রীপেরুম্বুদুরে এলটিটিই আত্মঘাতী জঙ্গির ঘটানো বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় রাজীব গাঁধীর। তাতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছিল, পেরারিবালনই তার জোগান দেন বলে তদন্তে উঠে আসে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন পেরারিবালন। প্রথমে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। ২০১৪ সালে তা যাবজ্জীবনে পরিবর্তন করা হয়। তার পর বছর দুয়েক আগে রাজ্য বিধানসভায় রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ৭ জেলবন্দিকে রেহাই দেওয়ার সুপারিশ করে তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের উপর সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দেয় তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি ভারতীয়কে টিকা, দাবি হর্ষ বর্ধনের​

দু’বছর ধরে রাজ্যপালের কাছে পেরারিবালনের আর্জি পড়ে থাকা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। জবাবে তামিলনাড়ু সরকার জানায়, রাজীব হত্যার পিছনে বড় ধরনের চক্রান্ত ছিল কি না, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) তা খতিয়ে দেখছে। তদন্ত কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এখনও পর্যন্ত তার জবাব আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement